মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের লাথিতে বাবা নিহত

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
বখাটের লাথিতে নিহত আবদুর রাজ্জাকের স্বজনদের আহাজারি
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের লাথিতে আবদুর রাজ্জাক (৫২) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যশোর নতুন উপশহরের সারথী মিল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ হোসেন আলী (৩৩) নামে অভিযুক্ত বখাটেকে হেফাজতে নিয়েছে। আবদুর রাজ্জাকের পরিবারের একজন সদস্য জানান, এক বছর আগে আবদুর রাজ্জাকের কিশোরী (২০) মেয়ের সঙ্গে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ছেলের মুঠোফোনে বিয়ে হয়। বিয়ের পরও কিশোরী বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন; কিন্তু পাশের বাসার হোসেন আলী প্রায়ই কিশোরীটিকে উত্ত্যক্ত করত। হোসেন আলী কিশোরীর কিছু ছবি ও অন্য কারও সঙ্গে তার ফোনালাপ রেকর্ড করে। এরপর সে অন্য একজনকে দিয়ে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে হোসেন আলী সেই ফোনালাপ ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। বিষয়টি কিশোরী তার বাবা-মাকে জানান। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে কিশোরীর বাবা আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে হোসেন আলীর দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিষয়টি নিয়ে ফের ঝগড়া বাধলে হোসেন আলীকে চড় মারেন আবদুর রাজ্জাক। এ সময় আবদুর রাজ্জাকের বুকে লাথি মারে হোসেন আলী। এতে তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক কাজল মলিস্নক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আবদুর রাজ্জাকের মৃতু্য হয়েছে। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, 'মোবাইল ফোনে মেয়েটির ছবি তোলা নিয়ে বিরোধের কারণে আবদুর রাজ্জাকের বুকে লাথি বা ঘুষি মারে হোসেন আলী। এতে তিনি মারা যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসেন আলী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আবদুর রাজ্জাকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা হবে।' \হ