ডিএপি সারের দাম কমল ৯ টাকা

প্রকাশ | ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সচিবালয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা করেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক -যাযাদি
যাযাদি রিপোর্ট কৃষকদের স্বার্থে ফসলের উৎপাদন ব্যয় কমাতে ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের দাম প্রতি কেজিতে ৯ টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। বুধবার সচিবালয়ে সারের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি (ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সারের ব্যবহার বৃদ্ধিসহ কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে দেওয়া প্রস্তাবটি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। তিনি বলেন, 'ডিএপি সারের দাম কেজিপ্রতি ৯ টাকা কমিয়ে ডিলার পর্যায়ে ১৪ টাকা ও কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা নির্ধারণ করা হলো। এ জন্য প্রতি কেজি সারে ২৪ টাকা ধরে বছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে।' এখন দেশে বছরে ৪ থেকে ৫ লাখ টন ডিএপি সারের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দাম কমানোর ফলে ডিএপি সারের ব্যবহার আরও বাড়বে; কৃষকদের উৎপাদন খরচও উলেস্নখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। 'ডিএপি সারে ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন (অ্যামোনিয়া ফর্মে) এবং টিএসপি সারের সমপরিমাণ ফসফেট রয়েছে। এ সার প্রয়োগে ইউরিয়া এবং টিএসপি সারের সুফল পাওয়া যায়।' এ সার প্রয়োগে গাছ শক্তিশালী হয়, ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ফসল পুষ্ট হয় জানিয়ে এ কৃষিবিদ বলেন, ফলে কীটনাশকের ব্যবহার ও আমদানি কমে যাবে। প্রতি বছর সারের জন্য সরকারকে সর্বমোট ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় বলে তিনি জানান। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ২০০৯ সালের আগে ডিএপি সারের দাম ছিল কেজিতে ৯০ টাকা, যা ধাপে ধাপে কমিয়ে ২০১৪ সালে ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আলু রপ্তানি নিয়ে চিন্তা \হকরছে সরকার দেশে আলুর চাহিদা পূরণ করে কীভাবে বিদেশে রপ্তানি করা যায় তা নিয়ে সরকার অনেক দূর এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আলু রপ্তানির উদ্দেশ্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ডিসেম্বরের মধ্যে একটি অ্যাক্রিডেটেড ল্যাব স্থাপন করবে। বারি এ পর্যন্ত ৯১টি আলুর জাত অবমুক্ত করেছে। এগুলো পুরোদমে প্রসেসিং শেষ হলে আলু রপ্তানি করা সম্ভব হবে। বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আলু রপ্তানির বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, মানুষ নিরাপদ খাদ্য চায়। বর্তমান মৌসুমে আলু রপ্তানির ব্যাপারে কী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা জানতে চান বারির কাছে। আলু রপ্তানির কোন কোন ক্ষেত্রে সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে কি না তাও জানতে চান মন্ত্রী। আবদুল রাজ্জাক বলেন, ফ্র্যান্স ফ্রাই ও চিপসের জন্য আলুর জাত আবাদ করতে হবে। আলু প্রক্রিয়াজাত করে মূল্য সংযোজন করে রপ্তানির মাধ্যমে এ শিল্পকে লাভবান করতে হবে। রপ্তানি উপযোগী আলু পেতে হলে কন্ট্রাক্ট ফারমিংয়ে যেতে হবে। সরকার যে রপ্তানি উপযোগী আলুবিজ অবমুক্তর তিন বছরের সময়সীমা তুলে নিয়েছেন, এখন যে কেউ রপ্তানি উপযোগী আলুর জাত আবাদ করতে পারবেন, তবে রোগ-বালাইয়ের ক্ষেত্রে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তদারকি করবে। যেকোনো মূল্যে আলু রপ্তানি করতে হবে। এ ব্যাপারে সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে কাজ করে এ শিল্পটিকে লাভজনক করতে হবে।