বাংলাদেশের আরও তিনটি সোনা জয়

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নেপালের এসএ গেমসে শনিবার দারুণ একটি দিন কেটেছে বাংলাদেশের। ছেলেদের ভারোত্তোলনের ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জিতেছেন জিয়ারুল ইসলাম। এরপর ফেন্সিংয়ে ফাতেমা মুজিবের সাফল্যে যোগ হয়েছে আরেকটি সোনা। এর আগে দিনের শুরুতে ভারোত্তোলনে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। সেই উৎসব শেষ হতে না হতেই ছেলেদের ইভেন্টে সোনার হাসি হেসেছেন জিয়ারুল। ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে ১২০ কেজি ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৪২ কেজি মিলিয়ে মোট ২৬২ কেজি তুলে সেরা হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশকে আরেকটি সোনার পদক উপহার দিয়েছেন ফাতেমা মুজিব। নেপালের চলতি এই গেমসে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ফেন্সিং। আর প্রথম আসরেই মেয়েদের স্যাবার এককে সেরা হয়েছেন ফাতেমা। এবারই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ফেন্সিং। কাঠমান্ডুর নয়াবাজার কৃতিপুরে শনিবার এককে ফাতেমাও পেলেন প্রথম সোনা জয়ের স্বাদ। ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের রাবিনা থাপাকে ১৫-১০ পয়েন্টে হারান ফাতেমা। সেমি-ফাইনালে ভারতের দিয়ানা দেবীকে ১৫-১১ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতাটির ত্রয়োদশ আসরে এ নিয়ে সাতটি সোনার পদক জিতল বাংলাদেশ। পোখারায় ছেলেদের ৯৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে শনিবার স্ন্যাচ (১২০ কেজি) ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক (১৪২ কেজি) মিলিয়ে ২৬২ কেজি তুলে সেরা হন জিয়ারুল ইসলাম। তার আগে মেয়েদের ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জেতেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। স্ন্যাচে ৮০ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০৫ কেজিসহ মোট ১৮৫ কেজি ওজন তুলে সেরা হন গত এসএ গেমসে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে সোনা জেতা এই ভারোত্তোলক। ছেলেদের পুমসে ২৯ (পস্নাস) বয়স ক্যাটাগরিতে ৮ দশমিক ২৮ ও ৭ দশমিক ৯৬ স্কোর গড়ে দেশকে প্রথম সোনা এনে দিয়েছিলেন দিপু চাকমা। পরের তিনটি সোনা আসে কারাত থেকে। পুরুষ এককে কুমিতের অনূর্ধ্ব-৬০ কেজিতে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ হারিয়ে সোনা জিতেছিলেন আল আমিন। কারাতের কুমিতে মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে পাকিস্তানের কৌসরা সানাকে ৪-৩ পয়েন্টে হারিয়ে মারজান আক্তার প্রিয়া এবং কুমিতে অনূর্ধ্ব-৬১ কেজিতে স্বাগতিক নেপালের অনু গুরুংকে ৫-২ পয়েন্টে হারিয়ে হুমায়রা আক্তার অন্তরা সোনা জিতেন।