আন্দোলনকারীদের মন্তব্য

এটা কোটা সংস্কার বিলম্বিত করার অপচেষ্টা

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কোটার যৌক্তিক সংস্কার না হওয়া পযর্ন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরা। কোটা সংস্কার দীঘাির্য়ত করার জন্য সরকার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে বলে মনে করছে কোটা আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংগঠনটি মনে করে, কোটা সংস্কারের নামে এটি প্রহসন। কোটা সংস্কার নিয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ওই কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার, বাতিল ও পযাের্লাচনায় গঠিত সরকারি কমিটির প্রাথমিক সুপারিশে কোটা প্রায় পুরোটাই উঠিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি মেধাকে প্রাধান্য দেয়ারও সুপারিশ এসেছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহŸায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘সরকার কোটা সংস্কারের কাযর্ক্রমকে দীঘাির্য়ত করতে চাইছে। আমাদের সঙ্গে প্রহসনের জন্য এটা করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছিল, কোটা তুলে দেয়া হবে। কিন্তু আমরা কোটা পুরোপুরি তুলে দেয়ার পক্ষে নই। মুক্তিযোদ্ধা, নারী, আদিবাসী, জেলা কোটাসহ যে ৫৬ শতাংশ কোটা আছে, তা কমিয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক। আমরা চাই সবাই সমান সুযোগ পাক। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনির যে কোটা আছে, তা যৌক্তিক নয়। আদালতের রায়েও এটি বলা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘কোটার যৌক্তিক সমাধান না হওয়া পযর্ন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ কোটা আন্দোলনের কারণে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দাবি করে হাসান আল মামুন বলেন, ‘যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা কেউ রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হননি। আন্দোলনের কারণে তাদের বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমি সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করব, ঈদের আগেই তাদের মুক্তি দেয়া হোক।’