শুল্ক ছাড়া আশুগঞ্জ দিয়ে এবার পাথর পরিবহন করছে ভারত

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
এবার ১১১৭ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করেছে ভারতীয় জাহাজ এমভি গড়াই ডবিøউ ভি ১৩৬৭। রোববার বিকালে জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরের জেটিতে নোঙর করে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল ও স্বাক্ষরসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মঙ্গলবার সকাল থেকে জাহাজটি থেকে পণ্য খালাসের কাজ শুরু হবে। বরাবরের মতোই ১৯৭২ সালের নৌ-প্রটোকল চুক্তির (ট্রান্সশিপমেন্ট) আওতায় এসব ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশের পানিপথ ও স্থলপথ ব্যবহার করে আগরতলা নেয়া হচ্ছে। ফলে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার কোনো প্রকার শুল্ক পাচ্ছে না। তবে আগের মতো এবারও পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১৯২ টাকা মাসুল দেয়া হবে। এ ছাড়াও টনপ্রতি ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট অবস্থান ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চাজর্ ও লেবার চাজর্ দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালের নৌ-প্রটোকোল চুক্তির (ট্রান্সশিপমেন্ট) আওতায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪৫০ কিলোমিটার পানিপথ ও স্থলপথ ব্যবহার করে বিভিন্ন মালামাল নিচ্ছে ভারত। এই চুক্তির আওতায় এর আগে মানবিক কারণ দেখিয়ে ভারত প্রথমে পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশ ও পরে কয়েক দফায় ফ্লায়েস, রড, স্টিল সিট, চাল ও ভোজ্য তেল পরিবহন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় কলকাতার হলদিয়া বন্দরের পাশের জিআর-২ জেটি থেকে জাহাজটিতে ভারতীয় পাথর লোড করা হয়। পরে ২৮ জুলাই দুপুরে ১১১৭ মেট্রিকটন পাথর নিয়ে রওনা হয় জাহাজটি। প্রায় ১৫ দিন পর জাহাজটি রোববার বিকালে আশুগঞ্জ নৌবন্দর জেটিতে নোঙর করে। আশুগঞ্জ নৌবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহার করে ট্রাকে করে পাথরগুলো যাবে ত্রিপুরার আগরতলায়। এমভি গড়াই ডবিøউ ভি ১৩৬৭ নামে জাহাজটির মাস্টার মানষ গাইন জানান, ২৮ জুলাই ১১১৭ মেট্রিকটন পাথর নিয়ে রওনা হয় ভারতীয় জাহাজটি। ১৫ দিন পর আশুগঞ্জে রোববার বিকালে নোঙর করা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে দু-একদিনের মধ্যে জাহাজ থেকে পাথর খালাসের কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশের লোডিং ঠিকাদার আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. আক্তার হোসেন জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে ভারতের আগরতলায় পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১৯২ টাকা মাসুল দেয়া হবে। এ ছাড়াও টনপ্রতি ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট অবস্থান ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চাজর্ ও লেবার চাজর্ আগের মতই দেয়া হবে। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মঙ্গলবার অথবা বুধবার সকাল থেকেই পাথর আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে আগরতলা পৌঁছবে। বিআইডবিøউটিএর আশুগঞ্জ বন্দরের পরিদশর্ক মো. শাহআলম জানান, কাস্টমসসহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মঙ্গলবার অথবা বুধবার সকাল থেকেই বাংলাদেশি ট্রাক ব্যবহার করে পাথরগুলো আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে আগরতলা যাবে।