বাংলাদেশের জয়জয়কার আর্চারিতে ছয়ে ছয়

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নেপালে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে রোববার আর্চারিতে ৬টি সোনার পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় পতাকা হাতে বিজয়ীরা -ছবি সংগৃহীত
সোনালি হাসিতে শুরু হয়েছিল সকাল। দুপুর নাগাদ আর্চারদের সেই হাসি আরও চওড়া হয়। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) আর্চারি থেকে এক দিনেই ৬টি সোনার পদক পেল বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার অষ্টম দিনে পোখারায় রোববার সকালে রিকার্ভ ইভেন্ট থেকে তিনটি সোনার পদক পায় বাংলাদেশ। দুপুরে তিনটি সোনা ধরা দেয় কম্পাউন্ড ইভেন্ট থেকে। কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত বিভাগে ভুটানকে ২২৫-২১৪ স্কোরে হারিয়ে সোনার পদক জিতে নেয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে অংশ নেন অসীম কুমার দাস, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। কম্পাউন্ড মহিলা দলগত বিভাগে শ্রীলংকাকে ২২৬-২১৫ ব্যবধানে হারিয়ে সোনা জিতেছে সুস্মিতা বণিক, শ্যামলী রায় ও সোমা বিশ্বাসকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশ দল। আর্চারিতে দিনের শেষ ইভেন্ট কম্পাউন্ড মিশ্র দ্বৈতে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন জুয়েল রানা-রোকসানা আক্তার জুটি। স্বাগতিক নেপালের জুটিকে তারা হারান ১৪৮-১৪০ ব্যবধানে। সকালে রিকার্ভ দলগত ইভেন্টের সোনা দিয়ে শুরু হয়েছিল সাফল্যের স্রোত। সোনা এনে দিয়েছেন রোমান সানা, তামিমুল ইসলাম ও হাকিম মোহাম্মদ রুবেল। এরপর মেয়েদের রিকার্ভ দলগত ইভেন্ট ও রিকার্ভ মিশ্র ইভেন্ট থেকে আসে সোনা। সব মিলিয়ে দিনের ৬ ইভেন্টের ৬টিতেই সেরা বাংলাদেশ। সোমবার এককের চারটি ফাইনাল হবে। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আছে ১০ ইভেন্টের সবগুলো থেকে সোনার পদক জয়ের। আর্চারির অসাধারণ সাফল্যের দিনে ক্রিকেট থেকেও সোনার পদক এনে দিয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আগের ৭ দিন মিলিয়ে এসেছিল ৭ সোনা। রোববার এক দিনেই এলো আর ৭টি। ১৪টি সোনা জিতে বাংলাদেশ ছুঁয়েছে নতুন উচ্চতা। দেশের বাইরের এসএ গেমসে বাংলাদেশের আগের সেরা সাফল্য ছিল ১৯৯৫ মাদ্রাজ গেমসের ৭টি সোনার পদক। বাংলাদেশের সামনে হাতছানি এখন শুধু দেশের বাইরে নয়, সব মিলিয়ে এসএ গেমসে নিজেদের ইতিহাস সেরা সাফল্য পাওয়ার। দ্বিতীয় সেরা সাফল্য এর মধ্যেই হয়ে গেছে। ১৯৯৩ এসএ গেমসের ১১টি সোনার পদক ছাড়িয়ে গেছেন এবারের অ্যাথলেটরা। ২০১০ সালের ১৮ সোনার পদক পেরিয়ে যাওয়াও এখন খুবই সম্ভব। আর্চারির চারটি ইভেন্ট থেকে সোনা প্রত্যাশিতই। ছেলেদের ক্রিকেটের ফাইনাল সোমবার। অনন্যা ইভেন্ট থেকেও আশা আছে আরও দু-একটি সোনার পদকের।