যে মোবাইলেই কল হোক সবির্নম্ন রেট ৪৫ পয়সা

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
মোবাইল ফোনে নিজের অপারেটর এবং অন্য অপারেটরে আলাদা কলরেটের নিয়ম বদলে সব মোবাইলের জন্য প্রতি মিনিট সবোর্চ্চ ২ টাকা এবং সবির্নম্ন ৪৫ পয়সা ট্যারিফ নিধার্রণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সেই সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে অন্য অপারেটরদের ইন্টারকানেকশন চাজর্ পুননির্র্ধারণ করে সোমবার চিঠি পাঠানো হয়েছে চার অপারেটরের প্রধান নিবার্হী কমর্কতাের্দর কাছে। দেশের সব অপারেটরকে ১৪ আগস্ট প্রথম প্রহর, অথার্ৎ সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকেই নতুন ট্যারিফ প্ল্যান কাযর্কর করতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এতদিন একই অপারেটরে (অন-নেট) ফোন কলের জন্য গ্রাহকদের প্রতি মিনিটে সবির্নম্ন ২৫ পয়সা এবং অন্য অপারেটরে (অফ-নেট) ৬০ পয়সা হারে ট্যারিফ প্রযোজ্য হতো। এই নিয়ম চলছিল গত সাত বছর ধরে। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে অন-নেট, অফ-নেটের ট্যারিফ সীমার ব্যবধান আর থাকল না। গ্রাহক যে অপারেটরেই কথা বলুক না কেন, প্রতি মিনিটে তার খরচ হবে প্যাকেজ, বান্ডেল আর সময়ভেদে ৪৫ পয়সা থেকে ২ টাকার মধ্যে। সেই সঙ্গে আগের মতোই ভ্যাট ও অন্যান্য শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এছাড়া অফ-নেট কলে ইন্টারকানেকশন চাজর্ ১৪ পয়সা (আইসিএক্স শূন্য দশমিক শূন্য ৪ পয়সা এবং টামেের্নটিং অপারেটর ১০ পয়সা প্রতি মিনিট) নিধার্রণ করা হয়েছে। এই চাজর্ কেবল অপারেটরদের জন্য প্রযোজ্য হবে, গ্রাহকের ওপর নয়। টেলিকম খাতের একজন বিশ্লেষক বলেছেন, গ্রাহক সংখ্যার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা অপারেটররা অন-নেটে নানা অফার ও বান্ডেল দিয়ে অন্য অপারেটরদের তুলনায় বেশি সুবিধা পেত। অভিন্ন ট্যারিফ সীমা নিধার্রণ করে দেয়ায় বাজারে ভারসাম্য আসবে। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, জুন পযর্ন্ত সময়ে বাংলাদেশের মানুষের হাতে ১৫ কোটির বেশি মোবাইল সিম ছিল। এর মধ্যে সাত কোটি গ্রাহকই গ্রামীণ ফোনের সেবা নেন। রবির গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ৪৭ লাখ, বাংলালিংকের ৩ কোটি ৩২ লাখ। আর রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৩৭ লাখ। রবির হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়াসর্ শাহেদ আলম নতুন ট্যারিফ সীমাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এর ফলে গ্রাহকের অন-নেট, অফ-নেট প্যাকেজের ঝামেলা থাকল না। গ্রাহকের কাছে বিষয়গুলো আরও সহজ হলো।’ তিনি বলেন, নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল (এমএনপি) শুরু হলে অন-নেট, অফ-নেটের আলাদা ট্যারিফ সীমায় সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল, এখন তা কেটে গেল। বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়াসর্ অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘সরকারের এই উদ্যোগকে বাংলালিংক আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এটি গ্রাহকদের নেটওয়াকর্ বেছে নেয়ার এবং কল করার স্বাধীনতা বাড়াবে; তাদের জীবনযাত্রা আরও সহজ করতে ভূমিকা রাখবে, যা আগে ছিল না।’ একটি মোবাইল ফোন অপারেটরের একজন কমর্কতার্ বলেন, একমাত্র বাংলাদেশই অফ-নেট ও অন-নেট ট্যরিফ চালিয়ে আসছিল। শ্রীলঙ্কাও ২০১৬ সালে ভিন্ন ট্যারিফ সীমা তুলে দিয়ে অভিন্ন হার চালু করে।