প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ও বক্তব্য

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গত ২৯ নভেম্বর দৈনিক যায়যায়দিনে প্রকাশিত 'চাকরিচু্যত হয়েও ৪ বছর অধ্যক্ষ পদে বহাল' শীর্ষক প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডি, শিক্ষক পরিষদ ও বিভাগীয় প্রধানদের যৌথ স্বাক্ষর সংলিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, অধ্যক্ষ নওয়াব আলী ২০১৬ সালে চাকরিচু্যত হননি। তিনি বিধিসম্মতভাবে স্ব পদে বহাল আছেন। প্রতিবাদে বলা হয়, অধ্যক্ষ সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে অধিদপ্তরের তদন্তের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার এমপিও কর্তন করার আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট পিটিশন ৪৮৮৯/২০১৬ দাখিল করেছেন। মহামান্য হাইকোর্টের এ রিটের আদেশের কারণে তিনি অদ্যাবধি আইন সম্মতভাবে অধ্যক্ষ পদে বহাল আছেন। কলেজের টাকা আত্মসাৎ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে, সে অভিযোগটিও সত্য নয় বলে দাবি করা হয়। এখানে বলা হয়, ২০১১ সালের জুন মাসে অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পূর্বে প্রভাষক পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন ভাতা নেয়া শুরু করেন ২০১২ সালের ১লা ফেব্রম্নয়ারি থেকে। এর আগে সময়টুকু তিনি প্রভাষক পদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি বেতন বাবদ এক লক্ষ একুশ হাজার একশত ছেচলিস্নশ টাকা নিয়েছেন। একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের ক্ষেত্রে পদ পরিবর্তনের বেলায় এমপিও বেতন ভাতাদি গ্রহণের রীতি আছে। তাই প্রতিষ্ঠান থেকে ব্যক্তিগতভাবে এ টাকা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে আনীত অভিযোগটি অসত্য। এছাড়াও প্রতিবেদনে ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য খাতে চৌদ্দ লাখ তিরাশি হাজার পাঁচশ ষোল টাকা চুরাশি পয়সা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়নি বলে যা বলা হয়েছে। এ আর্থিক ঘটনাটি নওয়াব আলী অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নেয়ার আগের ঘটনা। তাই এটি কোনোভাবেই বর্তমান অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির ওপর বর্তায় না। প্রতিবেদকের বক্তব্য : শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন চিঠি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন ও চিঠির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই।