কুমিলস্নার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণে রুল

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট কুমিলস্নার লালমাই উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ছয়জনসহ আটজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের পরিবারকে ৪ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। পরিবারের পক্ষ থেকে করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু, আইনজীবী মো. জহিরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আবদুলস্নাহ আল মাহমুদ বাশার। কুমিলস্নার লালমাই উপজেলায় তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয়জনসহ আটজন নিহত হয়েছেন। গত ১৮ আগস্ট দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বাগমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কুমিলস্নার গোয়ালপট্টি এলাকার বন্দন হোটেলের মালিক ও কুমিলস্নার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়া ময়দান গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৪৫), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০), জসিমের শাশুড়ি সকিনা বেগম (৭০), জসিমের বড় ছেলে শিপন (১৭), দ্বিতীয় ছেলে হৃদয় (১৫), মেয়ে নিপু আক্তার (১৩), নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়া ময়দান গ্রামের শাইমুন হোসেন (১৫) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জামাল হোসেন (৩৫)। জামাল নাঙ্গলকোট উপজেলার করপতি ব্যাপারী বাড়ির মৃত জিতু মিয়ার ছেলে। ওইদিন কুমিলস্নার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (কুমিলস্না দক্ষিণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) আব্দুলস্নাহ আল মামুন বলেন, তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে কুমিলস্নার লাকসামে যাওয়ার পথে বাগমারা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কুমিলস্নাগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি হয়। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পেছনে থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আর এতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে।