খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিএনপির বিক্ষোভ

প্রকাশ | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে রোববার রাজধানীর বাড্ডায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি -যাযাদি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালত খারিজ করে দেওয়ার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি উদ্যোগে কয়েকটি থানা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার জামিন না দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেদিনই দলের পক্ষে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল এবং ঢাকা মহানগরে থানায় থানায় বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাজধানীর বাড্ডা থানা বিএনপির উদ্যোগে সবচেয়ে বড় মিছিল বের হয়। সকাল ১১টার দিকে বাড্ডার সুবাস্তু নজরভ্যালি টাওয়ারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ফুজি টাওয়ারের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে চারজনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে বিএনপি। মিছিলে অন্যদের মধ্যে মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উলস্নাহ হাসান, যুগ্ম সম্পাদক এ জি এম শামসুল হক, দপ্তর সম্পাদক এ বি এম আবদুর রাজ্জাক, নগর নেতা তাজুল ইসলাম, আবদুল কাদের বাবু, নুরুল ইসলাম কাজী, তুহিন, সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, হারুনুর রশিদসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। গত শনিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সেসময় শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেরই বহু নেতা তাদের আত্মতৃপ্তির কথা বলেছিলেন। তাদেরই একজন আব্দুল মালেক উকিল লন্ডনে থাকাবস্থায় বলেছিলেন যে, 'ফেরাউনের পতন হোক'। এমনকি খন্দকার মোশতাকের শপথবাক্য পাঠ করান তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচটি ইমাম। আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সিনিয়র উপদেষ্টা। কই প্রধানমন্ত্রী তো সে বিষয়ে কিছু বলেননি। অথচ পরবর্তীতে মালেক উকিলসহ হত্যাকান্ডের সমর্থনকারী বহু নেতাই তো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। এমিছিলটি ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে কামরাঙ্গীরচর, নিউমার্কেট, সূত্রাপুর, ওয়ারী, খিলগাঁও, বংশাল, লালবাগ, চকবাজার, শাহজাহানপুর, মুগদা, কলাবাগান, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, সবুজবাগ থানার নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল করেন। আর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে পলস্নবী, রূপনগর, খিলক্ষেত, উত্তরখান, মিরপুর, রামপুরা, তুরাগ, বিমানবন্দর, কাফরুল, দক্ষিণ খান, গুলশান, ভাটারা, আদাবর, মোহাম্মদপুর, বনানী থানার নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল হয়।