'আলস্নাহ এবং শেখ হাসিনাই জানেন সাধারণ সম্পাদক থাকব কি না'

প্রকাশ | ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংগঠন পরিচালনাকালে সফলতার পাশাপাশি কিছু ব্যর্থতাও আছে নেতাকর্মীদের। তবে ভুল-ত্রম্নটি শুধরে আগামীতে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আরও যুগোপযোগী এবং আধুনিক করে গড়ে তুলতে চাই। দল শক্তিশালী না হলে সরকার কখনোই শক্তিশালী হবে না। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থল পরিদর্শনকালে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বলেন, 'নতুন কমিটিতে শেখ হাসিনা ছাড়া কেউই অনিবার্য নয়। শেখ হাসিনাই একমাত্র ব্যক্তি যাকে সভাপতির পদে থাকতে হবে। আমি দলের সাধারণ সম্পাদক থাকব কি না, তা আলস্নাহ পাক জানেন, আর নেত্রী জানেন। আমি কিছু জানি না। এজন্য সবাইকে ২১ তারিখ (২১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।' ওবায়দুল কাদের বলেন, 'কাউন্সিলরদের মাইন্ড সেট আমাদের নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমাদের কাউন্সিলররাও তাকিয়ে থাকবে আমাদের নেত্রী কাকে চান, কীভাবে চান। কীভাবে নেতৃত্ব থাকবে। নতুন নেতৃত্বকে কোন মডেলে সাজাবেন। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। একুশ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।' তবে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি। এখনো দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'জঙ্গিবাদ এদেশ থেকে চলে গেছে এটা বলার উপায় নাই। তারা তলে তলে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কাজেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন যেন করতে পারি, সেটা আমাদের জাতীয় সম্মেলনের অঙ্গীকার।' তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন ও ভিশন বাস্তবায়নে উপযোগী শক্তি হিসেবে যারা কাজ করবে, যারা যোগ্য; তারাই নেতৃত্বে আসবে। তাদের নেতৃত্বে নতুন করে আওয়ামী লীগকে গড়ে তোলা সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, 'আমাদের এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হবে গত নির্বাচনে আমাদের নেত্রী দেশ ও জাতির কাছে যে এজেন্ডা দিয়েছেন, যে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন, সেই প্রতিশ্রম্নতি পালনে, আমাদের নেত্রীর ভিশন বাস্তবায়নের উপযোগী শক্তি হিসেবে আমরা আওয়ামী লীগের নতুন পুরাতন মিলিয়ে ঐতিহ্য এবং প্রযুক্তি মিলিয়ে, একটা ফাইন ব্যালান্স করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।' ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এই প্রতিশ্রম্নতি পূরণে শুধু সরকার শক্তিশালী হলে হবে না। দলকেও শক্তিশালী থাকতে হবে। দলকে শক্তিশালী করা, সুসংগঠিত করা আধুনিক একটা মডার্ন, স্মার্ট একটা পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে আমরা জনগণের সামনে উপহার দেব।' তিনি বলেন, 'সফলতার পাশাপাশি তার দলের ব্যর্থতাও আছে। তবে সফলতা-ব্যর্থতার বিষয়টি বিবেচনা করবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। সর্বোপরি দেশের জনগণই সফলতা-ব্যর্থতার বিচার করবে।' তবে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নবতর পথযাত্রার সূচনা এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে হবে বলে জানান তিনি। সম্মেলনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা চলছে, শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে, আমাদের নেতাকর্মীদের ঢলও সারাদেশে থেকে ততই বাড়ছে। সারাদেশ থেকে আমাদের দলের অসংখ্য নেতাকর্মী আগামীকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।' সম্মেলনের দিন নেতাকর্মীরা যার যার দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকবেন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে বোঝা যাবে শৃঙ্খলার সঙ্গে কতটা সংযুক্ত তার দল। তিনি বলেন, সম্মেলনকে সফল করার জন্য শৃঙ্খলা উপকমিটির বিশাল দায়িত্ব। কেউ কারও চেয়ার বসলে তাকে বলে দিতে হবে। যেকোনো মূল্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। তার দাবি, উপস্থিতির দিক থেকে আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলন স্মরণকালের বৃহত্তর সভা হবে। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। \হ