রাজবাড়ীতে দেশি মুরগির খামারে সফলতা

প্রকাশ | ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মতিউর রহমান, রাজবাড়ী রাজবাড়ী শহরের বেড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম পলাশ তেমনই দেশি মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। সঙ্গে করছেন মাছ চাষও। সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যমে মাত্র তিন বছরের মধ্যে তিনি এখন প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জানায়, জেলায় পাঁচটি পোল্ট্রি হ্যাচারি ও এক হাজারের মতো মুরগির ফার্ম রয়েছে। তবে দেশি মুরগির ফার্ম একটিই। ২০০৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অ্যাকাউন্টিংয়ে মাস্টার্স করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কিছুদিন চাকরি করেন পলাশ। বেতনও ভালো ছিল। কিন্তু স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গি গ্রামে পৈতৃক পুকুরের ওপর ঘর তুলে শুরু করেন দেশি মুরগি ও মাছ চাষ। পলাশ জানান, চাকরি ছেড়ে বাড়ি এসে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে তাদের পুকুরের ওপর গড়ে তোলেন দেশি মুরগির খামার। জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে মুরগি ও মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করতে থাকেন। এরপর ডিম সংগ্রহ করে সেগুলো বাছাই করতে হয়েছে। ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা লালন পালন ছিল আরও কঠিন। শুরুতে তার খামারের মুরগি কেউ নিতে চাইত না। সন্দেহ করত এটি সোনালী বা লেয়ার হবে। এখন তার খামারের মুরগির চাহিদা প্রচুর। ধীরে ধীরে খামারের প্রচার হচ্ছে। তার খামারে মুরগির সংখ্যা প্রায় এক হাজার। ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন মুরগি। মাসে এক লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়। মুরগির ফার্মের পাশাপাশি দুটি পুকুরে মাছ চাষও করেন। সেখানেও রয়েছে দেশি মাছের প্রাধান্য। হারিয়ে যেতে বসা পুটি, বেলে, ট্যাংরা, শোল, টাকি ইত্যাদি মাছ চাষ করছেন। এসব মাছের পোনা সংগ্রহেও তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেক ঘুরে সংগ্রহ করেছেন এসব মাছের পোনা। এসব মাছের চাহিদাও ব্যাপক। এ ছাড়া নৌসি, কাতল, মৃগেল, অ্যমেরিকান রুই, গ্রাস কার্পও রয়েছে তার পুকুরে। প্রতি দুই মাস অন্তর তিনি বিক্রি করেন মাছ। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল হক সরদার জানান, রাজবাড়ীতে এক হাজারের মতো মুরগির ফার্ম রয়েছে। তবে দেশি মুরগির ফার্মের তথ্য তার কাছে নেই। যদি এ ধরনের উদ্যোগ কেউ নিয়ে থাকেন, তবে প্রাণিসম্পদ অফিস তাকে অবশ্যই সহযোগিতা করবে।