সিঙ্গাপুরের শীষর্ ধনীর তালিকায় সামিটের মো. আজিজ খান

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
মোহাম্মদ আজিজ খান
ফোবর্স ম্যাগাজিনের করা সিঙ্গাপুরের শীষর্ ৫০ ধনীর তালিকায় এসেছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সামিট গ্রæপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান ও তার পরিবারের নাম। অথর্-বাণিজ্যের সাময়িকী ফোবর্স বলছে, জুলাই পযর্ন্ত হিসাবে সামিট গ্রæপের চেয়ারম্যান আজিজ খান ও তার পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ৯১ কোটি ডলার। আর ওই সম্পদ নিয়ে সিঙ্গাপুরের শীষর্ ৫০ ধনীর তালিকায় এ বছর আজিজ খানের নাম রয়েছে ৩৪ নম্বরে। ৬৩ বছর বয়সী আজিজ খান গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বাসিন্দা। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস, কমিউনিকেশনস, হসপিটালিটি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাকর্, রিয়েল এস্টেট খাতে ব্যবসা রয়েছে সামিট গ্রæপের। সামিট গ্রæপের প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল সম্প্রতি সিঙ্গাপুর স্টক এক্সচেঞ্জে (এসজিএক্স) তালিকাভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এশিয়ায় বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগের জন্য এসজিএক্স থেকে অথর্ সংগ্রহ করতে চায় আজিজ খানের কোম্পানি। গত ফেব্রæয়ারিতে এ বিষয়ে রয়টাসের্ক তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অনেক ছোট আর আমাদের বিনিয়োগের জন্য আরও অনেক বেশি অথর্ প্রয়োজন। সিঙ্গাপুর একটি বৈশ্বিক অথৈর্নতিক কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। ফলে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য এটি একটা ভালো জায়গা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর এক সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সেনা কমর্কতার্ ফারুক খানের ভাই। ফারুক খান ২০০৯-১৩ মেয়াদে বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। দুই বছর আগে ইন্টারন্যাশনাল কনসোটির্য়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জানাির্লস্টস আইসিআইজের প্রকাশিত অফশোর লিকস ডেটাবেইজে আজিজ খান ও তার পরিবারের সদস্যদেরও নাম আসে। তবে সামিট চেয়ারম্যান সে সময় কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কাছে। সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের সিঙ্গাপুর হেডকোয়াটাের্র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নিবার্হীর দায়িত্বে আছেন আজিজ খানের মেয়ে আয়েশা আজিজ খান। আজিজ, ফারুকের আরেক ভাই জাফর উমেদ খানও এ কোম্পানির পরিচালনা পষের্দ আছেন। প্রথমে ট্রেডিং কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরে বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যবসা এসে দ্রæত উন্নতি হতে থাকে সামিটের ব্যবসার। ১৯৯৮ সালে সামিটের প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উৎপাদনে যায়। বতর্মানে সামিটের ১৭টি কেন্দ্র দেশের মোট বিদ্যুতের চাহিদার ৯ শতাংশের জোগান দিচ্ছে বলে তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য। সামিট পাওয়ার গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিক (জিই) এবং জাপানের মিৎসুবিশি করপোরেশনের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে ৩০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। এর আওতায় দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, দুটি এলএনজি টামির্নাল, একটি তেলের টামির্নাল এবং একটি এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।