শিক্ষাথীর্ আন্দোলনে সহিংসতা-উসকানির ঘটনায় ৫১ মামলা

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষাথীর্ সড়ক দুঘর্টনায় নিহতের ঘটনায় গড়ে ওঠা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় মোট ৫১টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় বুধবার সকাল পযর্ন্ত মোট ৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে দÐবিধি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মোট ৪৩টি মামলায় ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে রমনা বিভাগে মোট ১৪টি মামলা করা হয় এবং ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা হয় ১০টি। যেখানে গ্রেপ্তার করা হয় ২০ জনকে এবং ৮৪ জনকে আসামি করে করা চারটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ১১ জনকে। ১৪টি মামলার মধ্যে ১৩টির তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং একটি মামলা তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। লালবাগ বিভাগে একজনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওয়ারী বিভাগে মামলা হয়েছে দুটি। অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪৫০ জনকে আসামি করে করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে। এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ছয়টি মামলা করা হয়েছে। ছয়টি মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তেজগঁাও বিভাগে ছয়জনকে আসামি করে দুটি মামলা করা হয়েছে। যার মধ্যে দুইজন এজাহারনামীয়সহ সন্দিগ্ধ আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিরপুর বিভাগের মিরপুর মডেল থানায় বিইউবিটি ইউনিভাসিির্ট ও কমাসর্ কলেজসহ অন্যান্য কলেজের অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ ছাত্র-শিক্ষককে আসামি করে একটি মামলা, অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় একটি মামলা এবং ৯৬ জনকে আসামি করে আরও তিনটিসহ মোট পঁাচটি মামলা করা হয়েছে। গুলশান বিভাগে অজ্ঞাতনামা ২০০০-২৪৫০ জনকে আসামি করে সাতটি মামলা এবং ৩১ জনকে আসামি করে আরও দুটি মামলাসহ মোট ৯টি মামলা করা হয়েছে। ৯টি মামলায় মোট ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তরা বিভাগে অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে তিনটি মামলা এবং ১১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি মামলাসহ মোট চারটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ২৯ জনকে আসামি করে দায়ের করা মোট আটটি মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটটি মামলার মধ্যে চারটি মামলা ডিএমপি’র সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ, একটি ডিবি পুলিশ এবং একটি থানা পুলিশ তদন্ত করছে। এই আন্দোলনে নানাভাবে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।