আহমাদ হোসাইন নাজমুস সাকিব
কুমিের্টালায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাস দুঘর্টনায় দুই শিক্ষাথীর্ নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন উস্কানিমূলক গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই শিক্ষাথীের্ক গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকা ও কামরাঙ্গীরচর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শিক্ষাথীর্রা হলেন আহমাদ হোসাইন (১৯) ও নাজমুস সাকিব (২৪)। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসলাম উদ্দিন।
গ্রেপ্তার হওয়া সাকিব ঢাকার ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীর্ এবং আহমাদ হোসাইন কামরাঙ্গীরচরের জামিয়া নুরিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাথীর্। আসলাম জানান, দুই শিক্ষাথীর্র বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আহমাদ হোসাইনের বাবা আতাউর রহমান। বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাটে এবং নাজমুস সাকিবের বাবা জহির উদ্দিন বাবর। বাসা পূবর্ রাজাবাজারে।
আসলাম উদ্দিন বলেন, ৪-১৪ আগস্ট পযর্ন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পযাের্লাচনা করে দেখা যায়, সড়ক দুঘর্টনায় দুই শিক্ষাথীর্ দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম নিহত হওয়ার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে কিছু দুষ্কৃতকারী মিথ্যা তথ্য-সংবলিত বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য অপপ্রচার করে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশে অরাজক ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূতির্ ক্ষুণœ করার জন্য বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট লেখা, পোস্ট, ছবি ও ভিডিও ইলেকট্রনিক বিন্যাসে সম্প্রচার করেছে।
আসলাম বলেন, সিআইডি কম্পিউটার ব্যবহার করে সামাজিকমাধ্যম তদারকি করে স্ক্রিনশট সংগ্রহ করে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ও বুধবার ঢাকা এবং কামরাঙ্গীরচর থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
