সাইবার আক্রমণের আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সতকর্তা

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে দেশের ব্যাংকগুলোকে সতকর্ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নিবার্হীদের কাছে এ বিষয়ে সাকুর্লার পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে প্রয়োজনীয় কাযর্ক্রম গ্রহণ করতে হবে। ‘ব্যাংকের লেনদেন ব্যবস্থায় সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণ-সংক্রান্ত সতকর্তা’ শিরোনামে ওই সাকুর্লারে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং গণমাধ্যমে পাশ্বর্বতীর্ দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুলপরিমাণ অথর্ আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরা পেমেন্ট সিস্টেমস হ্যাক করে দেশের ভেতরে এবং দেশের বাইরে থেকে এ অথর্ হাতিয়ে নেয়। উদীয়মান অথর্নীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এ ধরনের সাইবার সিকিউরিটি এবং হ্যাকিং-সংক্রান্ত নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে। ‘এমতাবস্থায়, সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে ২০১৬ সালের ৩ মাচর্ এবং ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট জারি করা এ-সংক্রান্ত সাকুর্লার দুটি পরিপালনসহ সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে নিবিড় তদারকি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় কাযর্ক্রম গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’ তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। মাঝে মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের সতকর্ করে দেয়া হয়।’ যেহেতু বিভিন্ন দেশে ব্যাংকিং ব্যবস্থা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুলপরিমাণ অথর্ আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে, সে কারণে আমাদের ব্যাংকগুলোকে সতকর্ থাকার জন্যই এ সাকুর্লার জারি করা হয়েছে।’ ২০১৬ সালের ৩ মাচর্ জারি করা ‘আথির্ক খাতে যথাযথ সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ শীষর্ক সাকুর্লারে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পষের্দর তত্ত¡াবধানে সাইবার গভনের্ন্স ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিপূণর্ সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়ন, প্রযুক্তিগত দুবর্লতা মূল্যায়ন পরিচালনা এবং আপদকালীন ব্যবস্থাপনা কাযর্ক্রম প্রণয়ন এবং যেকোনো সাইবার বা কারিগরি আক্রমণ মোকাবেলার জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নসহ ব্যাংকগুলোকে ১০টি কাযর্ক্রম গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল। এরপর ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট জারি করা অপর সাকুর্লারে বিভিন্ন পেমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পাদিত কাডির্ভত্তিক লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ঝুঁকি হ্রাস এবং গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধি বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।