যুদ্ধাপরাধ: লিয়াকত-আমিনুলের রায় যেকোনো দিন

প্রকাশ | ১৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
হবিগঞ্জের লাখাই থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিয়াকত আলী এবং কিশোরগঞ্জের আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় হবে যেকোনো দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অপহরণ, নিযার্তন, লুটপাট, হত্যা, গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাত ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে। উভয় পক্ষের যুক্তিতকর্ শুনানি শেষে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তজাির্তক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন এবং পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম যুক্তিতকর্ উপস্থাপন করেন। রেজিয়া সুলতানা চমন পরে বলেন, ‘দুই বছর আগে আসামি লিয়াকত আলী ও আমিনুল ইসলামের বিচার শুরু হয়। আজ প্রসিকিউশন ও আসামিপক্ষের যুক্তিতকর্ উপস্থাপন শেষ হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছে। এখন যেকোনো দিন রায় ঘোষণা করবে ট্রাইব্যুনাল।’ মামলার নথিতে বলা হয়েছে, লিয়াকত একাত্তরে ছিলেন মুসলিম লীগের কমীর্। আর আমিনুল ইসলাম ওরফে রজব আলী ওই সময়ে ছাত্র সংঘের সদস?্য ছিলেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর তাদের বিচার শুরু করে আন্তজাির্তক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আইনজীবীদের প্রারম্ভিক বক্তব?্য উপস্থাপনের মধ?্য দিয়ে ওই বছর ৪ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। লিয়াকত আলী ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পযর্ন্ত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থাতেই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। সেখানে বলা হয়, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশাপাশি তিন থানা হবিগঞ্জ জেলার লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ব?্যাপক যুদ্ধাপরাধ ঘটান দুই আসামি। ২০১৬ সালের ১৮ মে সন্দেহভাজন দুই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। শেষ পযর্ন্ত তাদের পলাতক দেখিয়েই বিচার চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেয় আদালত।