মেঘনায় ২ লঞ্চের সংঘর্ষে মা ও ছেলের মৃতু্য

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে এক নারী ও তার সাত বছরের ছেলের মৃতু্য হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ১০ যাত্রী। রোববার রাত পৌনে ১টার দিকে বরিশাল ও চাঁদপুরের সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীর মাঝের চর এলাকায় ঢাকাগামী কীর্তনখোলা-১০ ও পিরোজপুরের হুলারহাটগামী ফারহান-৯ লঞ্চের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গারুরিয়া ইউনিয়নের রুবেল খান আব্বাসের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (২৫) ও তার ছেলে মমিন খান (৭)। তারা কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের যাত্রী ছিলেন। বরিশাল নৌবন্দরে বিআইডবিস্নউটিএ-এর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু বলেন, ফারহান-৯ লঞ্চের সামনের দিক কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মাঝামাঝি অংশে সজোরে ধাক্কা দেয়। তাতে কীর্তনখোলা লঞ্চের ডান দিকের অনেকটা অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার সময় লঞ্চের নিচতলার ডেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন রুবেল খান। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাহমুদা ও মমিন। রুবেলসহ ১০ যাত্রী এ ঘটনায় আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে নৌ পুলিশের সহায়তায় চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকেরগঞ্জের গারুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সাইফুজ্জামান জানান, রুবেল খান পেশায় একজন গাড়ি চালক। পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকাতেই থাকেন। শীতের ছুটিতে কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার পথে তারা দুর্ঘটনায় পড়েন। নিহত মা-ছেলের লাশ নিয়ে কীর্তনখোলা লঞ্চটি সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা সদরঘাটে পৌঁছায় জানিয়ে বিআইডবিস্নউটিএ এর পরিবহণ পরিদর্শক মো. সেলিম বলেন, "লঞ্চটি আপাতত জব্দ করা হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ দুটির সুরতহাল তৈরি করছে।" ঢাকা সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে বলেন, বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা কীর্তনখোলা-১০ চাঁদপুরের কাছাকাছি এসে ঘন কুয়াশার মধ্যে চরে আটকে যায়। ঢাকা থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটগামী ফারহান-৯ চরে আটকে থাকা কীর্তনখোলা লঞ্চের মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে সজোরে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে বরিশাল বিআইডবিস্নউটিএ-এর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু জানান।