আশুলিয়ায় 'জঙ্গি আস্তানা' থেকে নারী আটক বিস্ফোরক উদ্ধার

প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০৮

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক ঢাকার আশুলিয়ার একটি বাড়ি থেকে জঙ্গি সন্দেহে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওই বাড়ি থেকে পেট্রোল বোমা ও বিস্ফোরকসহ নানা সরঞ্জাম উদ্ধারও করা হয়। আশুলিয়া থানার ওসি রিজাউল হক বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় গকুলনগর বাজার এলাকায় এক সৌদি আরব প্রবাসীর দুইতলা বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাটে এই অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার শায়লা রহমান শারমিনের বয়স ২৮ থেকে ৩০ বলে জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সর্দার। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া অভিযান শেষে রাত সাড়ে ৮টায় এসপি মারুফ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নিউ জেএমবির আইটি বিভাগের প্রধান তানভীর আহমেদ বাসাটি ভাড়া নেন। তার স্ত্রী শায়লা রহমান শারমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তানভীরকে পাওয়া যায়নি। 'তানভীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের বর্তমান ছাত্র। তানভীরের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচিত হওয়ার পর সম্প্রতি তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রথম এই বাড়িটি ভাড়া নেন বলে শারমিন জানান।' এসপি বলেন, বাড়িটি থেকে পেট্রলবেমা, বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নানা ধরনের যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে দূর থেকে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো যেতে পারে। 'তবে তাদের কী পরিকল্পনা ছিল তা জানা যায়নি। এই বাড়ি ভাড়া নেওয়ার পর যারা এখানে যাতায়াত করত তাদেরও আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।' এসপি মারুফ জানান, বগুড়ার জেএমবির একটি মামলার সূত্র ধরে এই অভিযান চালানো হয়েছে। পুলিশের সদরদপ্তর থেকে তথ্য পেয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ এই অভিযানে নামে। অভিযানে ঢাকা জেলা পুলিশের নেতৃত্বে ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশ এবংর্ যাবও ছিল। স্থানীয় পাথালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লেহাজ উদ্দিন বলেন, বাড়িটিতে জঙ্গি রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তিনি বলেন, প্রায় ১০ দিন আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দুজন দোতলার পুরো বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়িটি দেখাশোনা করেন বাড়ির মালিকের ভায়রা ভাই শাহজাহান। তিনিই ভাড়া দিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, জঙ্গি সন্দেহেই ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। 'প্রাথমিকভাবে জানা গেছে বাড়িতে এখন কোনো পুরুষ মানুষ নেই। শুধু মহিলা আছে। তাছাড়া বাড়িতে কিছু বিস্ফোরক আছে এমন তথ্যও রয়েছে।' তাদের একটি টিমও সেখানে গিয়েছে বলে তিনি জানান। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী দীন মোহাম্মদ আশিক জানান, তানভীর আহমেদ তাদের বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। একবার রিপিট করায় এখন তিনি ৪৭ ব্যাচের সঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষে আছেন।