ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ আদালতে স্বীকারোক্তি মজনুর

প্রকাশ | ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনু ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের খাস কামড়ায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করা শেষ হয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক তোফাজ্জল হোসেন। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আদালতের এক কর্মচারী জানিয়েছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় মজনুর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি ধর্ষণ মামলায় মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী। সেই রিমান্ড শেষ হওয়ার এক দিন আগেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক আদালতে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুরের পর তাকে বিচারকের খাস কামরায় নেওয়া হয়। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন ঢাবি শিক্ষার্থী। তখন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওই ছাত্রী সেদিন বিচারকের কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন। গত ৭ জানুয়ারি রাতে মজনুকে আটক করের্ যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্(যাব) একটি টিম। এ সময় তার কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনসহ খোয়া যাওয়া সামগ্রী জব্দ করা হয়। পরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে দেখিয়ে ধর্ষক মজনু শনাক্ত করা হয়। তখন সংবাদ সম্মেলনে র?্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। ঢাকায় আসার পর বিভিন্ন রেলস্টেশনে কিংবা এর আশপাশে থাকতেন। তিনি মাদকাসক্ত। তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঢাকায় এসে তিনি প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের জানিয়েছেন। গত ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নিজ গন্তব্যে পৌঁছলে রাত ১২টার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে সেখানের ওসিসিতে ভর্তি করে কর্তৃপক্ষ।