ছাত্রলীগের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষে রক্তাক্ত ইবি

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কুষ্টিয়ায় ইবিতে মঙ্গলবার ছাত্রলীগের দুই গ্রম্নপের সংঘর্ষের সময় এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় -যাযদি
ইবি প্রতিনিধি ইসলামী বিশ্ববিদ্যায়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রম্নপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক এলাকায় সভাপতি-সম্পাদক গ্রম্নপের সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রম্নপের দুই দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছাত্রলীগের দুই গ্রম্নপের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের কর্মীদের নিয়ে প্রায় চার মাস পর ক্যাম্পাসে প্রবেশের খবর পায় বিদ্রোহী গ্রম্নপের কর্মীরা। এতে সকাল থেকে দলীয় টেন্টে অবস্থান নেয় তারা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সভাপতি ও সম্পাদকের কয়েকজন কর্মীকে ধাওয়া করে প্রধান ফটকের সামনে থেকে ক্যাম্পাস সীমানা পার করে দেয় তারা। এ সময় সভাপতি সম্পাদকের কর্মীদের মধ্যে চারজন আহত হয়। পরে বেলা দেড়টার দিকে সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সম্পাদক রাকিব পুনরায় ৪০-৫০ জন কর্মীসহ মিছিল দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। বিশ্ববিদ্যালয় থানা গেট থেকে প্রধান ফটকের দিকে আসলে ২য় দফায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রম্নপের নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এ সময় তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সভাপতি-সম্পাদক গ্রম্নপের কর্মীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সাধারণ সম্পাদক রাকিব গুরুতর আহত হন। এছাড়াও উভয়গ্রম্নপের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছে। এর আগেও বিদ্রোহী গ্রম্নপের ধাওয়া খেয়ে চারবার ক্যাম্পাস ছেড়েছেন সম্পাদক রাকিব। আহতদের প্রক্টরিয়াল বডির সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে এবং পরে কয়েকজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর বিদ্রোহী গ্রম্নপের নেতাকর্মীরা খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। একইসাথে তারা বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে। যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে প্রায় ১ ঘণ্টা পর মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়ে প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় বিদ্রোহী গ্রম্নপের নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর আনিচুর রহমান বলেন, "গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সকাল থেকে প্রধান ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ ওর্ যাব মোতায়েন ছিল। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রফেসর ড. সেলিনা নাসরিকে আহবায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।" এদিকে বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী হানিফ শেখ বাদী হয়ে ইবি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার পর সম্পাদক রাকিবকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার তানভির আরাফাত।