গণতন্ত্র সূচকে ৮ ধাপ অগ্রগতি বাংলাদেশের

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক স্বনামধন্য ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ম্যাগাজিনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সবশেষ গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি ভূখন্ডের এই সূচকে গত বছর ৮৮তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৮০তম। বুধবার ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ এ সাময়িকীর গবেষণা শাখা ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২০০৬ সাল থেকে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। পাঁচ মানদন্ডে একটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০ ভিত্তিক এই সূচক তৈরি করে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এগুলো হলো- নির্বাচন ব্যবস্থা ও বহুদলীয় পরিস্থিতি, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার। প্রতি সূচকের পূর্ণমান ধরা হয় ২। সব সূচক মিলিয়ে কোনো দেশের গড় স্কোর ৮ এর বেশি হলে সেই দেশে 'পূর্ণ গণতন্ত্র' রয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়। স্কোর ৬ থেকে ৮ এর মধ্যে হলে সেটাকে চিহ্নিত করা হয় 'ত্রম্নটিপূর্ণ গণতন্ত্র' হিসেবে, আর স্কোর ৪ থেকে ৬ এর মধ্যে হলে 'মিশ্র শাসন' (হাইব্রিড রেজিম) ধরে নেওয়া হয়। স্কোর ৪ এর নিচে হলে সে দেশে 'স্বৈরশাসন' চলছে বলে ধরা হয়। আট ধাপ অগ্রগতি সত্ত্বেও সূচকে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান গতবারের মতোই মিশ্র ক্যাটাগরিতে। মূল্যায়নের ১০ পয়েন্টের মধ্যে এবার বাংলাদেশের স্কোর ৫.৮৮। ২০১৯ সালে এই স্কোর ছিল ৫ দশমিক ৫৭। তার আগের বছর ছিল ৫ দশমিক ৪৩। এবার আট ধাপ এগোলেও বাংলাদেশকে আগেরবারের মতো 'মিশ্র শাসনব্যবস্থার' বিভাগে রাখা হয়েছে। 'হাইব্রিড' ক্যাটাগরিতে স্থান পায় সেই দেশগুলো, যেখানে নিয়মিত নির্বাচন হলেও তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় না, বিরোধী দল এবং বিরোধী প্রার্থীদের ওপর দমন পীড়ন, দুর্নীতি এবং দুর্বল আইনের শাসনের ভিত্তিতে শাসন পরিচালিত হয়। পাশাপাশি দুর্বল নাগরিক সমাজ, পক্ষপাতমূলক বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত থাকে।