বৈশ্বিক স্বাস্থ্যে এখনো ঝুঁকি নয় করোনা ভাইরাস

ডবিস্নউএইচওর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিস্নউএইচও) জানিয়েছে, করোনাভাইরাস বৈশ্বিক স্বাস্থ্যের জন্য এখনো ঝুঁকি তৈরি করেনি। বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দু'দিনের জরুরি বৈঠক শেষে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধানোম গেব্রিসাস এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, করোনা ভাইরাস চীনের জন্য অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি করেছে। তবে এর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জরুরি অবস্থা জারির মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। এর আগে বুধবার চীনে করোনা ভাইরাসের মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে জেনেভাতে দু'দিনের বৈঠকে বসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ কমিটি। কমিটিতে থাকা ১৬ বিশেষজ্ঞের মধ্যে মতের অমিল হলেও বেশির ভাগ মতামত দেন, চীনের জন্য যদিও পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। জরুরি অবস্থা জারি না করলেও কমিটির সদস্যরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। এদিকে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সিঙ্গাপুরে এখনো মারাত্মক হয়নি। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার নববর্ষের ভাষণে তিনি জানান, ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের মতো মারাত্মক পরিস্থিতি সিঙ্গাপুরে তৈরি হয়নি। তবে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশটি যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর বিষয় নিশ্চিত করে। চীনের পূর্বাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম সংক্রমিত হওয়া করোনা ভাইরাস চীনের অন্য অঞ্চল ছাড়াও থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, জাপান, কোরিয়াসহ পাশের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে চীনে এ পর্যন্ত অন্তত ৮৩০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া ভাইরাস সংক্রমণে ২৮ জনের মৃতু্য হয়েছে। করোনা ভাইরাসে মানুষের ও প্রাণীদের ফুসফুস সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লু'র মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতু্য হতে পারে। সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এ ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা।