কমর্জীবী হতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী

প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

আবেদুল হাফিজ রংপুর
রংপুরে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায় জনগোষ্ঠীকে (হিজড়া) স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৫৬ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পযার্য়ক্রমে তাদের প্রত্যেককে প্রশিক্ষণ দিয়ে কমর্জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কম্পিউটার, বিউটি পালার্র, সেলাইসহ বিভিন্ন কারুশিল্প তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ১০ জনের গ্রæপ করে ইতোমধ্যে ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নগরীরর জাহাজ কোম্পানি মোড়, ইন্দারামোড়, ছালেক মাকেের্ট বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, হিজড়ারা নানা অনৈতিক কমর্কাÐের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এমনকি জীবিকানিবাের্হ তারা চঁাদাবাজিও করে তাকে। তাদের দলবদ্ধভাবে বেশিরভাগ দেখা যায় রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও হাটবাজারে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনের কারণে সাধারণ মানুষ তাদের এড়িয়ে চলেন। তবে এর ব্যতিক্রম মিঠাপুকুর উপজেলার শুকুরেরহাট মিজার্পুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (১৯)। তিনি এ বছর মানবিক বিভাগ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তিনি বলেন, স্বভাবে হিজড়া (তৃতীয় লিঙ্গ) হওয়ায় সাধারণ মানুষ তাদের এড়িয়ে চলছেন। বিষয়টি তাকে অনেক পীড়া দেয়। তবে হিজড়া স¤প্রদায়ের যারা চঁাদাবাজি করে জীবিকানিবার্হ করে, রাশেদুল তাদের সমথর্ন করে না। রংপুর নগরীর সাহেবগঞ্জ বানুপাড়ার আলমগীর হোসেনের ছেলে অঁাখি মনি (১৪)। সে বানুপাড়া পাটোয়ারীটারী উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। কিন্তু চালচলন ও কথাবাতার্য় অন্য ৮-১০ জন থেকে আলাদা। সে উচ্ছৃঙ্খল হিজড়াদের বিভিন্ন অনৈতিক কমর্কাÐ ঘৃণা করে। তারা নিজেদের উপাজির্ত আয়ে মাথা উঁচু করে বঁাচতে চায়। এ জন্য তাদের মতো অনেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি উপাজর্নমূলক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জেলা সমাজসেবা কাযার্লয় পরিচালিত হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের বিভিন্ন কাযর্ক্রমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। জেলা সমাজসেবা কাযার্লয় সূত্র জানায়, হিজড়া স¤প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে ২০১৫-১৬ অথর্বছর থেকে বিভিন্ন কাযর্ক্রম শুরু হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে। ভাতা প্রদানের পাশাপাশি কাযর্ক্রমের মধ্যে রয়েছে সেলাই, কম্পিউটার, বিউটি পালার্র ও রান্না-বিষয়ক প্রশিক্ষণ। রংপুর জেলায় মোট হিজড়ার সংখ্যা ৩৭০ জন। এই কাযর্ক্রমের আওতায় ২০১৬-১৭ অথর্বছরে ৫৬ জনকে ৬০০ টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়েছে। জেলা সমাজসেবা কাযার্লয়ের উপ-পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘সরকার যেসব কাযর্ক্রম গ্রহণ করেছে, আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। এসব প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো হিজড়ারা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে।