চলন্ত বাস রেখে চালকের পলায়ন: মা-ছেলেসহ নিহত তিন

প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২০, ০০:২৩

যাযাদি ডেস্ক
বরগুনার আমতলী উপজেলায় একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে ভয় পেয়ে চলন্ত অবস্থায় বাস রেখেই পালিয়ে যান চালক। চালকবিহীন বাসটি দুটি অটোরিকশাকে দুমড়ে-মুচড়ে চাপা দেয় সাত পথচারীকে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় একই পরিবারের তিনজন। নিহিতরা হলেন- নুপুর বেগম (৩০), তার ছেলে নিশাত (১০) ও বড় বোনের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়া (১৫)। এ ঘটনায় আহত হন নিহত নুপুরের ছোট মেয়ে মমতা (৬), শাহাবুদ্দিন (৫৬) ও গ্রাম্য চিকিৎসক জব্বার (৪০)। এদের মধ্যে জব্বারকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ও বাকিদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স পাঠানো হয়েছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমতলী উপজেলার পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের একে স্কুল সংলগ্ন চৌরাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা মায়ের দোয়া পরিবহণের একটি বাস পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী একে স্কুলের স্পিড ব্রেকারের কাছে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দেয়। এরপরে চালক ভয় পেয়ে বাসটি চালু অবস্থায় রেখেই পালিয়ে যান। এ সময় চলন্ত বাসটি প্রথমে দুটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। পরে চালকহীন বাসটি সাতজন পথচারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের তিনজনের মৃতু্য হয়। এদিকে নিহত নুপুরের ছোট্ট মেয়ে আহত মমতা জানে না পরিবারের অন্য তিনজন বেঁচে নেই, সে শুধুই কান্না করছে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য। নিহতদের বাড়ি আমতলী উপজেলার দক্ষিণ রাওগা গ্রামে। নিহত নুপুরের স্বামী আবুল হোসেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী। খবর পেয়ে সার্কেল এএসপি সৈয়দ রবিউল ইসলাম ও আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নুপুরের খালা বেবি আক্তার জানান, নুপুর তার ছেলে নিশাত, মেয়ে মমতা ও বড় বোনের মেয়ে লামিয়াকে নিয়ে শুক্রবার গাজীপুর বন্দরের এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। ওই বাড়ি থেকে শনিবার সকালে মাহেন্দ্র গাড়িতে করে আমতলী একে স্কুলের সামনে নেমে বাসায় যাচ্ছিল। পথে বাসের চাপায় মারা যায়। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।