শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় বাড়ল

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের নতুন সময়সূচি করতে আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়েছে।

রোববার 'ভোটার তালিকা (সংশোধন) বিল-২০২০' সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।

গত ২০ জানুয়ারি বিলটি সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটি পাস হওয়ায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের সময় ৩০ দিন থেকে বেড়ে ৬০ দিন হলো। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময়কাল বিদ্যমান ২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারির জায়গায় ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ হয়েছে।

বিলে বিদ্যমান আইনের একটি ধারার আংশিক সংশোধনেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর ২ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে খসড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকা করে চূড়ান্ত ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করে সারাদেশে সিডি আকারে তৈরি করা অনেক কষ্টসাধ্য।

জাতীয় ভোটার দিবসের সঙ্গে মিল রেখে ২ মার্চ পর্যন্ত এই সময়সীমা করার প্রস্তাব করেন তিনি।

জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা চলমান নির্বাচন প্রক্রিয়ার কঠোর সমালোচনা করেন।

রুমিন বলেন, 'যে দেশে আগের রাতে ভোট হয়, প্রশাসন ও দলীয় ক্যাডাররা ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভরে রাখে, ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যান না; সেই দেশে ভোটার তালিকা করে কী লাভ?'

হারুনুর রশীদ বলেন, 'দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া কি এভাবেই চলতে থাকবে?'

সংসদে আসার আগেই ঢাকার সিটি নির্বাচনে দুইপক্ষের সংঘর্ষের প্রসঙ্গ উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'রীতিমতো যুদ্ধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব, প্রশাসন নীরব। এভাবে চলতে থাকলে আইন প্রণয়ন করে কী হবে? এসব বাদ দিয়ে যেভাবে ফ্রি স্টাইলে দেশ চলছে, সেভাবেই চলতে থাকুক। নির্বাচনী প্রচারে এই সংসদের মন্ত্রী-এমপিরাই আইন মানছেন না। আইন প্রণয়ন বাদ দিয়ে একদলীয়ভাবে দেশ চলতে থাকুক।'

বিএনপির এমপিদের এসব বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'বিএনপির মুখে এসব কথাই মানায়। কারণ, তাদের ভোট করার অভ্যাস নেই। তারা ক্ষমতা দখল করে হঁ্যা, না ভোট করেছিলেন। এতেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার বানিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রম্নয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের আয়োজন করেছিলেন। এখন বিএনপির দলীয় সদস্যরা আইনের দীক্ষা দিচ্ছেন!'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<86174 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1