উন্নয়ন সহযোগীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করাই লক্ষ্য বিডিএফ বৈঠক শুরু আজ

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য প্রয়োজন অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা এবং বিনিয়োগ। তাই উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বের কৌশল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করে থাকে সরকার। এরই অংশ হিসেবে আজ শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠক। এ বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে দেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। আজ ও আগামীকাল ৩০ জানুয়ারি দুই দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ বৈঠক হবে। আজ সকাল ১০টায় বৈঠকের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের এ বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগী দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সদর দপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন। বিডিএফ একটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট, যেখানে সরকার এবং তার উন্নয়ন অংশীদারদের নিয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য আরও অংশীদারিত্ব আবিষ্কার করতে কাজ করে। এখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডাগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অংশীদারিত্ব বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে বিভিন্ন গবেষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সরকারি নীতিনির্ধারক এবং সহযোগী উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নেতারা সমবেত হন। বিডিএফ-২০২০ এ অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ওপর সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। জানা গেছে, পরিবেশের পরিবর্তন ও জলবায়ু সংক্রান্ত হুমকি মোকাবিলা করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ হল অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা। এ জন্য উন্নত দেশগুলোকে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান করা হবে। কারণ বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় আন্তর্জাতিক সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোসহ ব্যক্তি খাতের অংশীদারিত্বকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। তাছাড়া বিশ্বের বুকে একটি গতিশীল অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার প্রত্যয় ও উপকরণ বাংলাদেশের রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের এ বৈঠক দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য যৌথ কর্মপন্থা নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই বৈঠকে শহরে টেকসই পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে বড় বাসের সংখ্যা বৃদ্ধিসহর্ যাপিড মাস ট্রানজিট, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেলভিত্তিক মাস ট্রানজিট সিস্টেমের বিষয় তুলে ধরা হবে। তাছাড়া প্রাইভেট সেক্টর এবং এনজিওগুলোকেও হাউসিং এবং অন্যান্য সার্ভিস ডেলিভারি যেমন স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদির ক্ষেত্রে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করার বিষয়ও থাকবে। তাছাড়া প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের কথা উলেস্নখ করা হবে। যেখানে অধিকতর বৈদেশিক বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রমও সরকার বাস্তবায়ন করছে।