কেক খাওয়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে খুন

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজাপুর (ঝালকাঠি) সংবাদদাতা ঝালকাঠির রাজাপুরে কেক খাওয়া নিয়ে ছোট ভাই দাখিল পরীক্ষার্থী আব্দুলস্নাহ হাওলাদারের দায়ের আঘাতে মেজ ভাই কলেজ শিক্ষার্থী আবদুর রহমান নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের কেওতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুর রহমান ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবু বকর হাওলাদারের মেজ পুত্র ও ঝালকাঠি সদরের গুয়াটন কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের ছাত্র। ঘাতক আব্দুলস্নাহ কেওতা ঘিগড়া ফজিল মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষার্থী। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক আবদুলস্নাহ পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহতের দাদা আব্দুল খালেক হাওলাদর বাদী হয়ে আব্দুলস্নাহকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। স্থানীয়রা জানায়, সৌদি প্রবাসী আবু বকর হাওলাদারের চার ছেলের মধ্যে নিহত আবদুর রহমান মেজ। ঘাতক আবদুলস্নাহ সেজ। তাদের বড় ভাই আবদুর রহিম ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে। ১৮ মাস বয়সের ছোট ভাই আবদুল কাইয়ুম বাড়িতে থাকে। নিহত আবদুর রহমানের মা ইয়াসমিন বেগম ও পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে আবদুলস্নাহ তার ১৮ মাস বয়সের ছোট ভাই আবদুল কাইয়ুমের জন্য বাজার থেকে বেকারির কেক নিয়ে আসে। সেই কেক থেকে কিছু অংশ মেজ ভাই আবদুর রহমান খাবার জন্য দাবি করেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগ্‌বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা দা হাতে নেয় আব্দুলস্নাহ। অন্যদিকে আব্দুর রহমান হাতে নেয় লোহার শাবল। এ সময় তাদের মা ইয়াসমিন বেগম রান্নাঘরে তাদের জন্য খিচুড়ি রান্ন করছিলেন। রান্নঘর থেকে ছুটে এসে তাদের মা ইয়াসমিন বেগম উভয়কে নিবৃত করার চেষ্টা করেন এবং আব্দুর রহমানের হাত থেকে শাবল কেরে নেন। এই ফাঁকে আবদুলস্নাহ তার হাতে থাকা দা দিয়ে আবদুর রহমানের মাথায় আঘাত করে। পরে স্বজনরা আব্দুর রহমানকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজাপুর থানা ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, রাতেই নিহত আব্দুর রহমানে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠিয়েছি। নিহতের দাদা বাদী হয়ে আব্দুলস্নাহকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে (মামলা নম্বর ১৯)। ঘাতক আব্দুলস্নাহকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।