কোরবানির ঈদ

এবার সোয়া কোটি পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য

নিবার্চনী বছরে কোরবানির সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারো বাড়বে। তাই পশুর চামড়া কেনা ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কঁাচা চামড়া ব্যবসায়ী আড়তদাররা

প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কঁাচা চামড়া কেনার প্রস্তুতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। নিবার্চনী বছর হওয়ায় অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ২০ থেকে ৩০ লাখ পশু বেশি কোরবানি হবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। তাই এবার এক কোটি ২৫ লাখ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার কঁাচা চামড়া সংগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্যানারি মালিক, ফড়িয়া ও আড়তদাররা। শনিবার রাজধানীর লালবাগ, পোস্তগোলা ও হাজারীবাগের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তারা বলছেন, সব সময় নিবার্চনী বছরে কোরবানির সংখ্যা বেড়ে যায়। এবারো বাড়বে। তাই পশুর চামড়া কেনা ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে কঁাচা চামড়া ব্যবসায়ী আড়তদাররা। তবে অথর্ সংকটের কারণে এবার চামড়া সংগ্রহে সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মাচের্ন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নিবার্চন। তাই ভোটার তুষ্টিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকমীর্রা এবার ঈদে বেশি করে পশু কোরবানি দেবেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ২০ থেকে ৩০ লাখ পশু বেশি কোরবানি হবে আশা করা হচ্ছে। গত বছর এক কোটির মতো পশু কোরবানি হয়েছিল। এবার সোয়া কোটির বেশি পশু কোরবানি হবে। এটি মাথায় রেখেই চামড়া কেনার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সারা বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ চামড়া কোরবানির ঈদে সংগ্রহ হয়। এ বছর আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকার কঁাচা চামড়া কেনাবেচা হবে। অথর্ সংকটে চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে কঁাচা চামড়ার এ আড়তদার বলেন, এখন পযর্ন্ত ট্যানারির মালিকরা আমাদের পাওনা টাকা দেননি। আগামী দুই দিনের মধ্যে ট্যানারিগুলো অথর্ না দিলে নগদ টাকার অভাবে চামড়া কেনা যাবে না। আর এ সময়ে যদি অথের্র অভাবে চামড়া সংগ্রহ না করতে পারি তাহলে চামড়া পাচার হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ট্যানারি মালিকরা ব্যাংক ঋণের সুবিধা পায়। আমরা কিছুই পাই না। নিজের টাকায় ও ধার দেনা করে ব্যবসা করি। কঁাচা চামড়ার ব্যবসার সঙ্গে সারাদেশে প্রায় তিন লাখ লোক জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায় সমস্যা হলে এসব লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই চলমান অথর্ সংকট মেটাতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করেন তিনি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ। গত বছর গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ৪ লাখ ২২ হাজার।