কারাগারে আরেকটি ঈদ কাটছে খালেদা জিয়ার

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
খালেদা জিয়া
বন্দিদশায় আরও একটি ঈদ কাটাতে হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। ৩৭ বছরের রাজনীতি জীবনে চতুথর্বারের মতো কারাগারে ঈদ করছেন তিনি। এক মামলায় সাজাসহ তিন ডজন মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সব মামলায় জামিন না হওয়ায় কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তিনি। গত ৮ ফেব্রæয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুনীির্ত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে নাজিম উদ্দীন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন বিএনপি প্রধান। ঈদ-উল-ফিতরেও কারাগারে ছিলেন তিনি। পরিবার-পরিজন ছাড়াই তাকে সেই ঈদ কাটাতে হয়। এবার নিয়ে বিএনপির এই শীষর্ নেতার কারাগারে ঈদ হবে চতুথর্ বার। এর আগে ২০০৭ সালে ১/১১ সরকারের সময় রোজা, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা কাটে সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত সাব-জেলে। ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের পর সাব-জেলে বন্দি রাখা হয়। সেখানে ৩৭২ দিন আটক থেকে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। কারাগারে খালেদা জিয়ার প্রথম রোজার ঈদ কাটাতে হয় ২০০৭ সালের ১৪ অক্টোবর। একই বছরের সালের ২১ ডিসেম্বর ঈদুল আজহা কাটাতে হয় ওই জেলেই। ১/১১ এর সময় তিনি অভিযুক্ত হয়ে সাব-জেলে কাটালেও সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ঈদ করেন এবারই প্রথম। চলতি বছরের খালেদা জিয়ার পবিত্র রমজান মাস, ঈদুল ফিতর কেটেছে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দীন রোডের কারাগারে। এবারের ঈদেও তাকে সেই কারাগারেই থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত বেদনার এবং সীমাহীন কষ্টের উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমীগর বলেন, দলীয় প্রধান কারাগারে রেখে বিএনপি নেতাকমীের্দর ঈদ পালন করাটা অনেক কষ্টের। যদিও তিনি অত্যন্ত দৃঢ় মনোবলের। এ বিষয়ে অভ্যস্ত। শুধুই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় সরকার খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখেছে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব। দলীয় মহাসচিবের মতোই মনোকষ্টের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটাই খালেদা জিয়ার প্রথম ঈদ নয়, এর আগেও তিনি সংসদ ভবন এলাকার সাব জেলে দুইবার ঈদ পালন করেছেন। এবার রোজা ও ঈদুল ফিতর পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে ঈদ করেছেন। গত ঈদের মতো এবারোও ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। এছাড়া বিএনপির মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা ঈদের নামাজের পর কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে কারাকতৃর্পক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে দলের শীষর্ নেতৃবৃন্দ কারাগারে গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।