মেহেরপুরে অনন্য ভালোবাসার দিন

প্রকাশ | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

মেহেরপুর প্রতিনিধি
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ছিল গতকাল শুক্রবার। দিবসটি পালনে দেশে দেশে যখন প্রেমিক-প্রেমিকা, নিজেদের ভালোবাসা নানান রঙে রাঙিয়ে উদযাপনে ব্যস্ত, ঠিক সেদিন মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামবাসী ওই এলাকার কমপক্ষে ২৫টি গ্রামের ৫ শতাধিক বৃদ্ধের জন্য এক অনন্য ভালোবাসার দিন উপহার দিলেন। ব্যবস্থা করলেন মুরুব্বিদের খাওয়া-দাওয়া, খোশগল্প, কোলাকুলি ও পারস্পরিক আলাপচারিতার। এতে মহা খুশি ওই এলাকার মুরুব্বিরা। জানা গেছে, শুক্রবার দিনব্যাপী সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের ২৫ জন সমমনা মানুষ কোনো সহযোগিতা ছাড়া নিজেদের উদ্যোগে এবং খরচে ওই এলাকার দু'টি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ৫ শতাধিক বৃদ্ধকে নিয়ে আয়োজন করল মিলনমেলা। বৃদ্ধদের পারস্পরিক ভাববিনিময়, কোলাকুলি, পুরানো স্মৃতিচারণায় ওই মিলনমেলা পরিণত হয় আনন্দমেলায়। দিনব্যাপী এই মিলনমেলায় দুইবেলা ভূরিভোজে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বাড়ি ফিরলেন গ্রামটির আয়োজকদের অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে। বৃদ্ধদের দাবি এ এক অনন্য আয়োজন। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত হয়ে সমবয়সি মানুষের সান্নিধ্যে নানা স্মৃতিচারণ তাদের ফিরিয়ে নিয়ে গেছে শৈশব ও যৌবনের দিনগুলিতে। এলাকার চাঁদপুর গ্রামের অংশগ্রহণকারী মুরুব্বি কুতুব উদ্দীন বলেন, 'মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। খাওয়া-দাওয়া খুব ভালো হয়েছে। অনেক মুরুব্বিদের সাথে আলাপচারিতা, মতবিনিময়সহ কোলাকুলি করে আনন্দ পেলাম। যুবকরা গ্রামে গ্রামে এরকম আয়োজন করলে আমাদের গর্বে বুক ভরে যায়।' মোশারফ হোসেন বলেন, এই আয়োজনে অংশ নিতে পারা এ এক অন্য রকম অনুভূতি। একসাথে এত সমবয়সি মানুষের দেখা হওয়া খুবই ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞা ও ধন্যবাদ জানান। মিলনমেলার প্রধান উদ্যোক্তা খাইরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা আমাদের নিজেদের বৃদ্ধা মা বাবার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে তাদের সমবয়সিদেরও একত্রিত করা হয়। এতে গ্রামের মুরুব্বিরা এলাকার ২৫টি গ্রামের তাদের সমবয়সি মুরব্বিদের সাথে আড্ডায় মেতে ওঠে। \হএটা এ বছর নিয়ে পরপর ৬ বছর ধরে করা হচ্ছে। আমরা নিজেরাই গ্রামের উদ্যোগী মানুষ নিয়ে মুরুব্বিদের এ মিলনমেলার আয়োজন করি। এ কাজে বাইরের কারো সাথে কোনো চাঁদা নেওয়া হয় না। অনুষ্ঠানে ২৫ থেকে ২৬টি গ্রামের ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ মানুষকে দাওয়াত করা হয়। বৃদ্ধদের এক জায়গায় করে ভালোবাসার দিনে তাদের জন্য একটা অনন্য ভালোবাসার আয়োজন করতে পেরে আমাদের খুব ভালো লাগে। এলাকার বৃদ্ধ মানুষরাও খুব খুশি হয়।'