যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করলেন স্বামী

প্রকাশ | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শ্রীপুর (গাজীপুর) সংবাদদাতা দুই লাখ টাকা যৌতুক না দেওয়ায় এক স্বামী তার স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে স্বামীসহ তার তিন সহযোগীকে অভিযুক্ত করে রোববার শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করে। আসামিরা হলেন- স্বামী সাঈম আহমেদ (২৬), শাশুড়ি জাহানারা বেগম (৪৫), মামা শ্বশুর আতাবুর রহমান (৪২) ও হাবিবুর রহমান (৩৮)। পুলিশ রোববার মধ্যরাতে আতাবুর রহমানকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সোমবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এখলাছ উদ্দিন জানান, প্রায় ৫ বছর আগে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের সালেহ আহমেদের ছেলে সাঈম আহমেদের সাথে ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে গৃহবধূ নয়নপুর এলাকার অটো স্পিনিং মিলে শ্রমিকের চাকরি নেন। তার বেতনের সম্পূর্ণ টাকা স্বামীর হাতে তুলে দেন। মাসখানেক পর স্বামী সাঈম পরিবারের লোকজনের প্ররোচনায় স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে অপারগতা জানালে স্বামী, শাশুড়ি ও দুই মামা শ্বশুর প্রায়ই তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। গৃহবধূর দরিদ্র বাবার যৌতুকের টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় আমনুষিক নির্যাতন সহ্য করেও ওই গৃহবধূ সংসার করতে থাকেন। গত রোববার সকাল আনুমানিক ১০টায় স্বামী আবারো বাবার বাড়ি থেকে সেই দুই লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য তাকে চাপ দেয়। গৃহবধূ বাবার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে পারবে না বলে স্বামীকে জানায়। পরে স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বেস্নড দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে ঘরে আটকে রাখে। পরে বুধবার স্বামী বাড়িতে না থাকায় কৌশলে ছেলে মোয়াজ্জেমকে নিয়ে ওই গৃহবধূ শিমুলতলা গ্রামের বাবার বাড়িতে চলে যান। বাড়িতে গিয়ে বাবাকে ঘটনা খুলে বলার পর মেয়ে ও একমাত্র নাতির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এখলাছ উদ্দিন আরও বলেন, মামলা হওয়ার পর ওইদিন রাতেই একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।