নতুন রোগী কমলেও মৃতু্যর মিছিল অব্যাহত

প্রকাশ | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
করোনাভাইরাস
নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রভূমি চীনের হুবেই প্রদেশে এক দিনে নতুন রোগীর সংখ্যা অনেকটা কমে এলেও মৃতু্যর মিছিল থামেনি। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১২৮ জনে, যাদের মধ্যে ১০ জন ছাড়া বাকি সবার মৃতু্য ঘটেছে চীনে। রয়টার্স জানিয়েছে, জাপানের উপকূলে নোঙর করে থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের আক্রান্ত যাত্রীদের মধ্যে অশীতিপর এক নারী ও এক পুরুষের মৃতু্যর খবর জানিয়েছে এনএইচকে টেলিভিশন। আগের দিন ইরানে মৃতু্য হয় আরও দুইজনের, যাদের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশটির মূল ভূখন্ডে ৩৯৪ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৭৪৯ জন। রয়টার্স লিখেছে, ২৫ জানুয়ারির পর বৃহস্পতিবারই সবচেয়ে কম নতুন রোগী নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৫৭৬ জনে। আর অন্তত ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সোমবার চীনে মোট ১১৪ জনের মৃতু্য হয়েছে নতুন এ করোনাভাইরাসে, এর মধ্যে হুবেই প্রদেশেই মারা গেছেন ১০৮ জন। তাতে চীনের মূল ভূখন্ডে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতু্যর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২১১৮ জনে। চীনের মূল ভূখন্ডের বাইরে এ পর্যন্ত দশজনের মৃতু্য হয়েছে এ ভাইরাসে। তাদের মধ্যে জাপানে তিনজন, হংকং ও ইরানে দুজন করে এবং ফিলিপিন্স, ফ্রান্স ও তাইওয়ানে একজন করে আক্রান্তের মৃতু্য হয়েছে। মধ্য চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। নিউমোনিয়ার মতো লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃতু্য হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে। সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য নতুন এ করোনাভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। আর এর সংক্রমণে ফ্লুর মতো উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯। আক্রান্ত রোগীদের লালা ও শ্লেষ্মা পরীক্ষা করে চীনা বিজ্ঞানীরা এখন বলছেন, নভেল করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে সার্সের চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গেই এর মিল পাওয়া যাচ্ছে বেশি। আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়েও সহজে এবং দ্রম্নত গতিতে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।