প্রেমিকাকে হত্যার পর তিস্তা সেচ ক্যানেলে ফেলে দেয় প্রেমিক

প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কলেজছাত্রী রুমাইয়া আক্তার রুমি হত্যাকান্ডের মূল হোতা আরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) বিপস্নব কুমার সরকার। তিনি বলেন, বুধবার রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে আরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার উজিয়াল হাড়িয়ালকুটি এলাকার মৃত আপিল উদ্দীনের ছেলে। এসপি বলেন, গত ১৫ ফেব্রম্নয়ারি আরিফুল তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে রুমিকে নিয়ে যায়। এ সময় উভয়ের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসার বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রুমিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে প্রেমিক আরিফুল। পরে ২-৩ জনের সহযোগিতায় রুমির মরদেহ বস্তায় ভরে রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের মিলের পাড় তিস্তা সেচ ক্যানেলে ফেলে দেয়। পরের দিন স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। গত ১৬ ফেব্রম্নয়ারি রংপুর সদরের মমিনপুর এলাকায় তিস্তা সেচ ক্যানেলে বস্তাবন্দি অবস্থায় রুমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রুমি বদরগঞ্জ পৌর শহরের মুন্সিপাড়ার বদরুজ্জামান বকুল ও রফিকা বেগম দম্পতির মেয়ে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলবাড়ী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন রুমি। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হত্যাকান্ডের আগের দিন ১৫ ফেব্রম্নয়ারি সকালে রংপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিংয়ের কথা বলে রুমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ওইদিন রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা দেখা দেয়। পরদিন মমিনপুর এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা ক্যানেলের পানিতে সাদা রঙের ইউরিয়া সারের বস্তার ভেতর একটি মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। বস্তার মধ্যে রুমির মরদেহ পাওয়া যায়।