মন্ত্রিসভায় তিনটি হজ প্যাকেজ অনুমোদন

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সরকারি ব্যবস্থাপনায় আরও একটি বাড়িয়ে ২০২০ সালের জন্য তিনটি হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার। এছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজ অনুমোদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৪ ফেব্রম্নয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে হজ প্যাকেজগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১-এর আওতায় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, প্যাকেজ-২-এর আওতায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং নতুন প্যাকেজ-৩ এর আওতায় খরচ পড়বে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর জন্য ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। বেসরকারি \হব্যবস্থাপনার হজ এজেন্সিগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১, প্যাকেজ-২ ও প্যাকেজ-৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জিলহজ বা ৩০ জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীর পেস্নন ভাড়া, সৌদি আরবের বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মুয়ালিস্নম ফি, জমজমের পানি, খাবার খরচ এবং অন্যান্য ফি হিসাব করে ২০২০ সালের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য তিনটি প্যাকেজ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার এজেন্সিগুলোর জন্য একটি প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর ও রাজকীয় সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ-বিষয়ক উপমন্ত্রীর সঙ্গে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর মক্কায় বাংলাদেশ সরকার ও রাজকীয় সৌদি সরকারের মধ্যে এ বছরের দ্বি-পাক্ষিক হজচুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১-এর মোট ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেশি। প্যাকেজ-২-এর মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ হাজার টাকা বেশি। সরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো ৩ লাখ ১৫ হাজার নতুন প্যাকেজ-৩-এর প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১-এর হজযাত্রীরা পবিত্র মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটারের মধ্যে, প্যাকেজ-২-এর হজযাত্রীরা সর্বোচ্চ ১৫০০ মিটারের মধ্যে এবং প্যাকেজ-৩ এর হজযাত্রীরা ১৫০০ মিটারের অধিক দূরত্বে অবস্থান করবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিমানের টিকিট বাবদ গৃহীত অর্থ হজ এজেন্সি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারবে না। সরাসরি বিমানের ব্যাংক হিসাবে চলে যাবে। হজযাত্রীর সংখ্যা অনুযায়ী সরাসরি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সকে পরিশোধ করতে হবে এবং সৌদি আরবের বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহণ বাবদ গৃহীত অর্থ আইবিএএন (ইন্টারন্যঅশনাল ব্যাংক একাউন্ট নম্বার)-এর মাধ্যমে সৌদি আরবে প্রেরণ ব্যতিত এজেন্সি উত্তোলন করতে পারবে না। বিমানের টিকিট ভাড়া নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা ফিক্সড করা হয়েছে। গত বছর বিশেষ কনসেশনে ১০ হাজার টাকা কমানো হয়েছিল। এ বছর রুট মক্কা ইনিশিয়েটিভের অধীন শতভাগ হজযাত্রীর সৌদি আরবের প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ জন এবং সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী প্রেরণ করতে পারবে; হজ এজেন্সি ব্যতিত অন্য কোন এজেন্সিকে হজযাত্রীর টিকেট বিক্রয়ের জন্য দেওয়া যাবে না। কোনো হজ এজেন্সিকে কোনো অবস্থাতেই ৩০০-এর বেশি টিকিট দেওয়া যাবে না। হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের জন্য হজযাত্রীর পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২১ সালের ১ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। প্রতি ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন করে গাইড নিয়োগ করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, হযাত্রীদের কোরবানি বাবদ ব্যয়ের অর্থ ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করার জন্য রাজকীয় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এজন্য হজযাত্রীকে প্যাকেজ মূল্যের অতিরিক্ত ৫২৫ সৌদি রিয়ালের সমপরিমাণ ১২ হাজার ৭৫ টাকা সঙ্গে নিতে হবে।