রায় দেখে বিকল্প দুই পথে এগুবে বিএনপি

আজ স্থায়ী কমিটির বৈঠক

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আদালতের সিদ্ধান্ত নেতিবাচক হলে বিকল্প দুটি পথে অগ্রসর হবে বিএনপি। নতুন করে আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার পাশাপাশি জিয়া পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্যারোল বা অন্য যেকোনো বিষয়ে দল পাশে থাকবে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পরবর্তী আদেশ আগামীকাল বৃহস্পতিবার দেবে আদালত। এর আগেই দলের পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আজ সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। গত রোববার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হয়। এদিন আদালত মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুসারে খালেদা জিয়া অ্যাডভান্স থেরাপির জন্য সম্মতি দিয়েছেন কি না, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কি না, চিকিৎসা শুরু হলে এখন কী অবস্থা, তা জানিয়ে আজ বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে ওই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পাশাপাশি পরবর্তী আদেশের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ঠিক করে আদালত। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আদালতের এ রায়ের দিকেই তাকিয়ে আছে বিএনপি। আজ চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রায় এবং এর পরবর্তী দলের সিদ্ধান্ত কী হওয়া উচিত তা নিয়ে নেতারা আলোচনা করবেন। বৈঠকে আদালতে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ কী ধরনের প্রতিবেদন দিচ্ছে, আইনজীবীরা কতটা প্রস্তুত এসব বিষয়ে পর্যালোচনার পাশাপাশি জামিন না হলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামিন না হলে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে একাধিক বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। এছাড়া জামিন না হলে জিয়া পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী প্যারোলের আবেদন করা হবে কি না তা নিয়েও আলোচনা হবে। বিএনপি সূত্রমতে, খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের একটি অংশ প্যারোলে হলেও খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে। খালেদা জিয়ার মত নিয়ে পরিবার যে সিদ্ধান্তই নেবে দলীয়ভাবে বিএনপি তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে। তবে বিএনপির নেতাদের একটি অংশেরও প্যারোল নিয়ে ভিন্নমত আছে। তারা মনে করেন, জামিনে মুক্তি পাওয়া খালেদা জিয়ার আইনগত অধিকার। প্যারোল নেওয়ার অর্থ হলো সরকারের অনুকম্পা নেওয়া এবং নতি স্বীকার করে নেওয়া। খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ও পরবর্তী করণীয় প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, উচ্চ আদালত বিএসএমএমইউর কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। বিএসএমএমইউর চিকিৎসক, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা চিকিৎসকের বিবেক-সততার দায়িত্ববোধ থেকে রোগী হিসেবে খালেদা জিয়ার এখন কী অবস্থা তার প্রকৃত তথ্য হাইকোর্টে দেবেন এবং উচ্চ আদালত তার প্রতি 'সুবিচার' করবে সে প্রত্যাশা করি। মূলত খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করছে। সরকারের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ করা না হলে খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। আদালতে জামিন না হলে অবস্থা বুঝে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বিএনপি। প্যারোলে মুক্তির আবেদনের সম্ভাবনার বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এটা একান্তই বিএনপির চেয়ারপারসন ও তার পরিবারের বিষয়।