পিলখানা হত্যাকান্ডে শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে মঙ্গলবার সকালে পিলখানা হত্যাকান্ডে শহিদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মোনাজাতে অংশ নেন পরিবারের সদস্যরা -যাযাদি
বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম অধ্যায় পিলখানা হত্যাকান্ড। ২০০৯ সালের এ দিনে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদরদপ্তরে নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রম্নয়ারির পিলখানা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ৫৮ জন সেনাসদস্য। হত্যাকান্ডের ১১তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে সকাল ৯টায় শহিদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শদিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম-উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনীপ্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেষে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এছাড়া এদিন সব সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতমের ব্যবস্থা করা হয় এবং শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সব স্তরের সেনাসদস্যের উপস্থিতিতে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।