স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দুদকের অভিযান

প্রকাশ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০৭

যাযাদি রিপোর্ট
রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়সাধনের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুদক। অপরিকল্পিতভাবে ও ব্যবহারকারীর চাহিদা ছাড়া ইন্ট্রা-অপারেটিভ ইমেজিং সিস্টেম ক্রয় করে এ অপচয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নূরজাহান পারভীন ও উপ-সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে টিম জানতে পারে, ২০১২ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পস্নাস্টিক সার্জারি এবং রিকন্সট্রাক্টিভ সার্জারিতে ব্যবহারের জন্য (যেগুলোর বাংলাদেশে ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত সীমিত) ৫টি ইন্ট্রা অপারেটিভ ইমেজিং সিস্টেম মেশিন কেনা হয়। তার মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ২টি মেশিন চালু থাকলেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও সলিমুলস্নাহ মেডিকেল কলেজে সরবরাহকৃত অবশিষ্ট ৩টি মেশিন অব্যবহৃত রয়েছে। এ তিনটি মেশিন প্রাপ্তির প্রথম থেকেই অকার্যকর অবস্থায় থাকার ব্যাপারে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানেরও ব্যাপক অবহেলা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করায় রাষ্ট্রীয় অর্থের এ অপচয়ের পেছনে সংশ্লিষ্টদের দায়ভার নির্ধারণে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতি চেয়ে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে দুদক টিম। এদিকে লক্ষ্ণীপুরের সদর উপজেলায় রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের কাজ ও অনিয়মের অভিযোগে আরেক অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। টিম উক্ত রাস্তার যথাযথ মান যাচাইয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনাসমূহের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত প্রাপ্তিসাপেক্ষে টিম কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। একই টিম জেলা নির্বাচন অফিস, লক্ষ্ণীপুরে নানা সেবা গ্রহণে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণের অভিযোগে অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া হবিগঞ্জে অবৈধভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা গ্রহণের অভিযোগে, চট্টগ্রামে দালালদের সাথে যোগসাজশে সরকারি তেল চুরির অভিযোগে, রংপুরে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে ঘুষ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগে এবং যথাযথভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান না করে রোগীদের হয়রানির অভিযোগে যথাক্রমে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হবিগঞ্জ, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ ও সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রংপুর হতে ৪টি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সব মিলিয়ে সোমবার দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত ১৮টি অভিযোগের বিষয়ে সাতটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। একই সঙ্গে ১১টি দপ্তরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।