বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন ব্যয় ৩ লাখ ১৭ হাজার

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চলতি বছর সরকারির মতো বেসরকারিভাবেও তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালন করা যাবে। বেসরকারিভাবে 'সাধারণ' প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনে ব্যয় হবে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮০০ টাকা ও 'ইকোনোমি' প্যাকেজের মাধ্যমে ব্যয় হবে ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অপর প্যাকেজটি সুযোগ-সুবিধার ওপর ভিত্তি করে হজ এজেন্সিগুলো ঘোষণা করবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি হোটেলে 'বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ-২০২০' ঘোষণা করেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। এর আগে গত সোমবার (২৪ ফেব্রম্নয়ারি) চলতি বছর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের প্যাকেজ একটি বাড়িয়ে তিনটির মাধ্যমে হজ পালনের সুযোগ রেখে 'হজ প্যাকেজ, ১৪৪১ হিজরি/২০২০ খ্রিস্টাব্দ'-এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। আর নতুন অনুমোদিত প্যাকেজে-৩ এ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুলাই (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার ব্যক্তি হজে যাবেন। হাব সভাপতি বলেন, মূল্যবান প্যাকেজ হলো প্যাকেজ 'এ'। এটা এজেন্সিগুলো নিজেরা নিজেদের মতো ঘোষণা করবে। সর্বনিম্ন প্যাকেজের নিচে (৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা) কেউ নিতে পারবেন না।' তিনি আরও বলেন, 'সাধারণ প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরিফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ইকোনোমি প্যাকেজের হজযাত্রীদের কুদাই, সৌকিয়া, বাতাকুরাইশ, আজিজিয়া ও জারোয়ালসহ পবিত্র হারাম শরীফের বাইরের চত্বরের সীমানার এক হাজার ৫০ মিটারের বেশি দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।' হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ১০ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত থাকতে হবে জানিয়ে হাব সভাপতি বলেন, 'কুরবানি খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে কমপক্ষে ৫২৫ সৌদি রিয়াল বা সমপরিমাণ টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে।' হাব সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, 'আমরা ২০২০ সালে একটি ত্রম্নটিমুক্ত হজ ব্যবস্থাপনা উপহার দিতে চাই। সে নিরিখে আমরা গত বুধবার জরুরি সাধারণ সভা করেছি। সেখানে সব হাব সদস্য ছিলেন। বিমানের টিকিটের সমস্যা দূর করতে এবার আমরা কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সবাইকে অনেক আগে টিকিট দিয়ে দেব। টিকিটপ্রাপ্তির পর বাড়ি ভাড়া হবে। বাড়ি ভাড়ার সঙ্গে টিকিট মেলে না এই জাতীয় কোনো অভিযোগ থাকার সুযোগ থাকবে না। আমরা এ বছর থেকে এটা করছি।' হজের সময় টিকিট সিন্ডিকেট মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না জানতে চাইলে তসলিম বলেন, 'এ বছর আর টিকিট সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকবে না। কারণ এ বছর এয়ারলাইন্সগুলো এজেন্সির কাছে সরাসরি টিকিট বরাদ্দ করবেন। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, ট্রাভেল এজেন্সি এ বছর টিকিটের ব্যবসা করতে পারবে না।' তিনি আরও বলেন, 'এবার একটি হজ এজেন্সির যে সংখ্যক হজযাত্রী থাকবে তিনি সেই সংখ্যক টিকিটই পাবেন। এ জন্য আমরা একটা পস্নাটফর্ম করে ইন্টিগ্রেশন করছি। যা এয়ারলাইন্স, আমরা ও ধর্ম মন্ত্রণালয় দেখতে পারবে।' সংবাদ সম্মেলনে হাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা ইয়াকুব শরাফতী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।