বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশ | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক বিদেশি শিক্ষার্থী হয়ে ভারতীয় সহপাঠীর সঙ্গে এনআরসি-সিএএ নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে আফসারা অনিকা মিম নামে বিশ্বভারতীতে অধ্যয়নরত এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে কলকাতার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরও) থেকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ভারত ছাড়ার নির্দেশনায় বিশ্বভারতীর ওই শিক্ষার্থীর মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কারণ তার সহপাঠীদের বক্তব্য সিএএবিরোধী একটি বিক্ষোভের সময় আফসারা কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আফসারা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এসেছিলেন শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ব্যাচেলর অব ডিজাইন' নিয়ে পড়াশোনা করতে। এফআরও অফিস থেকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। শুধু তাদের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আফসারার বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬ এর সেকশন ৩ এর সাবসেকশন (২) অনুয়ায়ী তাকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকা পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আফসারাকে ভারত ছাড়তে হবে। তবে নির্দেশিকায় তিনি ভারতবিরোধী ঠিক কি কার্যকলাপ করেছেন, সে বিষয়ে কিছু উলেস্নখ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, অ্যান্টি গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিতে যুক্ত ছিলেন আফসারা। আফসারা সবেমাত্র প্রথম সেমিস্টারের পড়াশোনা শেষ করেছেন। বিশ্বভারতী পঠনপাঠন শেষ করে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছিলেন তিনি। ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশে আফসারা ভয় পেয়েছেন এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে তার এক সহপাঠীর কাছ থেকে জানা গেছে। ওই শিক্ষার্থী এখন কী করবেন? কেন এই ভারতবিরোধী অভিযোগ? কী করেছিলেন তিনি? বিষয়গুলো আফসারা নিজেও বুঝে উঠতে পারছেন না। ফলে বাড়িতেও তিনি বিষয়টি সেভাবে জানাতে পারেননি বলে জানা গেছে। এর আগে ভারতের সবশেষ লোকসভার নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে দুই বাংলাদেশি তারকাকে ভিসা অন্তর্ভুক্ত কালো তালিকায় ফেলেছিল ভারত সরকার। এরপরও কলকাতায় দুই বাংলাদেশির চিকিৎসা করানোর সময় সিএএ-এনআরসি বিক্ষোভ মিছিলে হাতে পস্ন্যাকার্ড নিয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল। পুলিশ তাদেরও গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। দুঃখজনক হলেও এবার আফসারার সেই তালিকায় নাম উঠল।