ভৈরবে ইতালিফেরত ব্যক্তির মৃতু্য

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইতালিফেরত এক ব্যক্তির মৃতু্যর পর দুটি বেসরকারি হাসপাতালে চলাচল সীমিত করা হয়েছে; পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ১০ বাড়ির সামনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১১টার দিকে ৬০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির মৃতু্য হয়। তার বাড়ি ভৈরবের জগন্নাথপুরে। রোববার রাত ১০টার দিকে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বুলবুল বলেন, 'বিদেশফেরত ওই ব্যক্তি আমাদের তালিকার বাইরে ছিলেন। তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।' বিষয়টি রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানোর পর ঢাকা থেকে তাদের লোক এসে মৃতের নমুনা সংগ্রহ করেছে বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, 'ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা তা আইইডিসিআরের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' তবে সতর্কতা হিসেবে ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা ছিলেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় দেড় যুগ আগে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তার দুই ছেলেও এখন ইতালিতে থাকেন। সেখানে করোনাভাইরাসের মহামারি খারাপ আকার ধারণা করলে গত ২৮ ফেব্রম্নয়ারি একাই দেশে ফেরেন ওই বৃদ্ধ। এরপর গত শনিবার থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয় বলে পরিবারের ভাষ্য। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে শনিবার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা হৃদরোগের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিলে তাকে নেওয়া হয় অন্য হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ইতালিফেরত ওই ব্যক্তির মৃতু্যর পর তার বাড়ির চারপাশের ১০টি ঘর এবং চিকিৎসা নেওয়া দুটি হাসপাতালে চলাচল সীমিত করা হয়েছে। 'ওই দুই হাসপাতালে যারা কর্মরত ছিলেন তাদের হাসপাতালের ভেতরেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে মৃত ব্যক্তির বাড়ির চারপাশে।' মৃত ব্যক্তির দাফনের বিষয়ে জানতে চাইলে বুলবুল বলেন, এক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দাফনের নিয়ম অনুসরণ করা হবে।