ছুটি ঘোষণায় বাড়ি যাওয়ার হিড়িক

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
১০ দিনের টানা ছুটি ঘোষণার পর মানুষ ছুটছে গ্রামের বাড়িতে। মঙ্গলবার কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় -ফোকাস বাংলা
করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আগামী ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে। সরকারের এমন ঘোষণার পর লোকজনের বাড়ি যাওয়ার হিড়িক পড়েছে। এজন্য স্টেশনগুলোতে অগ্রিম টিকিট পেতে যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। নগরীর কমলাপুর রেলস্টেশন, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে। মূলত জনসমাগম এড়াতেই ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ছুটির ঘোষণা পেতেই সোমবার বিকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অগ্রিম টিকিটের জন্য ভিড় বাড়তে থাকে। একই চিত্র দেখা গেছে সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী ও গাবতলী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন সূত্র জানিয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির ঘোষণা থাকায় ২৫ তারিখ রাতে এবং ২৬ তারিখ সকালের ট্রেনে টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের অধিক ভিড়ের কারণে স্টেশনে লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এমন লাইন ছিল যাত্রীদের। কাউন্টারে দাঁড়িয়ে অগ্রিম টিকিট নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও যথেষ্ট চাহিদা ছিল রেলের টিকিটের। জানতে চাইলে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, স্টেশনে আগের তুলনায় যাত্রীদের কিছু ভিড় আছে। কয়েক দিনের ছুটি পেয়ে সবাই গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটছে। মহাখালী বাস টার্মিনালের এক শ্রমিক জানান, সন্ধ্যার পরপর বাড়ি যাওয়ার জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে টার্মিনালে ভিড় করে। এ সময় মানুষের চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। হঠাৎ যাত্রীদের এমন চাপ দেখা দেওয়ায় পরিবহণ মালিকরাও পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছেন। সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোতেও যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে। মুন্সীগঞ্জের চরকিশোরগঞ্জে মেঘনা নদীর চরে গ্রিন ওয়াটার-১০ নামে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চ জরুরি নোঙর করেছে। ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী বহনের ফলে ঢেউয়ের তোড়ে লঞ্চের ডেকে পানি উঠে যায়। তবে দ্রম্নত লঞ্চটিকে নদীর চরে নোঙর করতে সমর্থ হন চালক। রক্ষা পান প্রায় সাড়ে ৮০০ যাত্রী। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, এ ঘটনায় যাত্রীদের কেউ হতাহত হননি। লঞ্চটি নদীর চরে নোঙর করা হয়েছে। অন্য একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে রওনা হয়েছে। সেটি এলে যাত্রীদের সেই লঞ্চে করে গন্তব্যে পাঠানো হবে। এদিকে নগরবাসীর বাড়ি যাওয়ার এমন হিড়িক দেখা দেওয়ায় রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি দেশজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।