প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন খালেদার ভাই-বোন

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ডাদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়ার আবেদন করেন বেগম খালেদা জিয়ার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার গুলশানের নিজ বাসভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, 'কিছু দিন আগে খালেদা জিয়ার ভাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি দরখাস্ত এবং আমার কাছে একটি দরখাস্ত করেছিলেন যে, বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়ার জন্য। সেখানে তিনি লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা করানোর কথা বলেছিলেন। এরপর বেগম খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার, তার বোন সেলিমা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একই বিষয়ে সাক্ষাৎ করেছিলেন। সেখানেও এই আবেদনটির ব্যাপারে তারা কথা বলেছিলেন। তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলেছিলেন, নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন।' মুক্তি পেলেও খালেদা জিয়াকে বেশ কিছু শর্ত পালন করতে হবে উলেস্নখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার উপধারা ১-এ বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে তার চিকিৎসা গ্রহণ করার শর্তে, এই সময় দেশের বাইরে গমন না করার শর্তে মুক্তি দেওয়া জন্য আমি মতামত দিয়েছি। সেই মতামত এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ হচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে এই দুই শর্তসাপেক্ষে তার দন্ডাদেশ স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য।' খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে দন্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'এইখানে কিন্তু বলা হচ্ছে না যে, তিনি হাসপাতালে গিয়ে তার চিকিৎসা নিতে পারবেন না। হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারে তার কন্ডিশনের ওপরে দেখা যাবে। সেই জন্যই উলেস্নখ করা হয়েছে যে, বাসায় থেকে তার চিকিৎসা করানোর। এই কারণে বেগম খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে সরকার সদয় হয়ে তার দন্ডাদেশ স্থগিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। হাসপাতালে নিশ্চয়ই যেতে পারবেন। হাসপাতালে যদি ভর্তি হতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের সবচেয়ে মানসম্পন্ন হাসপাতালে তিনি আছেনই। সেখানে তো তার চিকিৎসা চলছেই। হাসপাতালে তাকে ভর্তি হতে হবে, সেটা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বোঝা যাবে। কিন্তু শর্ত হচ্ছে তিনি ঢাকায় তার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এবং ওই সময় তিনি দেশের বাইরে গমন করতে পারবেন না। যখন থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে মুক্তি দেবে, তখন থেকে দন্ডাদেশ স্থগিত কার্যকর হবে।'