অস্ত্র-মাদক মামলায় সম্রাটের চার্জশিট গ্রহণ ২০ এপ্রিল

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ক্যাসিনোসম্রাটখ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে করা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণের জন্য ২০ এপ্রিল ধার্য করেছে আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশে এ দিন ধার্য করেন। এ দিন এই দুই মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে উপস্থিত না করায় বিচারক নতুন এ দিন ধার্য করেন। মাদক মামলায় সম্রাটের পাশাপাশি তার সহযোগী যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানও আসামি। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপ-পরিদর্শক শেখর চন্দ্র মলিস্নক। মামলার চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উলেস্নখ করেন, সম্রাটের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তিনি লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র নিজ হেফাজতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখায় তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মাদক আইনে করা মামলায় যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি 'ক্যাসিনো সম্রাট' খ্যাত ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার্ যাব-১ এর উপপরিদর্শক আবদুল হালিম। উলেস্নখ্য, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়। এরপর ৫ অক্টোবর রাত থেকেই তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর এলেও পরদিন সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৬ অক্টোবর কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেপ্তার করের্ যাব। তার সঙ্গে আরমানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। ৬ অক্টোবর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের্ যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বের্ যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়ার্ যাব-১ বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে। দুই মামলার বাদীর্ যাব-১ এর ডিএডি আবদুল খালেক।