ঘরে বন্দি রাজধানীবাসী

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
অঘোষিত লকডাউনের কারণে রাজধানীবাসী এখন কার্যত গৃহবন্দি। তবে 'আসছে দিন ভালো হবে'- এ প্রত্যাশায় এ বন্দিদশাকে স্বাগত জানান তারা। জনশূন্য মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ছবিটি শুক্রবার তোলা -পিবিএ
'আপনারা দয়া করে ঘরে থাকুন। জরুরি কোনো কাজ না থাকলে ঘর থেকে বেরোবেন না।' এ সতর্কবার্তা রাজধানীতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। অঘোষিত লকডাউনের কারণে রাজধানীবাসী এখন কার্যত গৃহবন্দি। তবে 'আসছে দিন ভালো হবে'- এ প্রত্যাশায় এ বন্দিদশাকে স্বাগত জানিয়েছে নগরবাসী। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের সময় বেশ ভিড় লক্ষ্য করা যায় রাজধানীতে। তবে এর আগে বা পরে এ ভিড় ছিল না রাজপথে। এ দিন দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৩টার এই সোয়া ১ ঘণ্টায় এ প্রতিবেদক ঘুরে বেড়ান রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়, টিকাটুলী, মতিঝিল, গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, বিজয়সরণি মোড়, মহাখালী, গুলশান এক ও দুই, নতুন বাজার এবং প্রগতি সরণি এলাকা। দীর্ঘ এই যাত্রায় স্বাভাবিকভাবেই নজরে পড়েনি কোনো গণপরিবহণ। কারণ বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি নির্দেশে তা বন্ধ। তবে নজরে পড়েনি ব্যক্তিগত গাড়ি। তবে কিছু সংখ্যক মাইক্রোবাস নজরে এসেছে। যার অধিকাংশই জরুরি সেবায় নিয়োজিতদের অফিসে আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর বাইরে মোটরসাইকেল নজরে পড়েছে গোটা দশেক। যার অর্ধেকই পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের। বাইসাইকেল নিয়েও বেরোতে দেখা গেছে তিনজনকে। রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে কথা হয় আশিকুর মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা ছিল ঘরে বসে নামাজ পড়ার। কিন্তু জুমার নামাজ বলে আদায় করতে চলে এসেছি মসজিদে। আমি বাংলাদেশের জন্য খাস দিলে দোয়া করেছি। যাতে করোনাভাইরাস আমাদের কাছ থেকে দূরে চলে যায়। শুক্রবার দুপুরে অনেককেই দেখা যায়, পাড়ার মুদির দোকানগুলোতে ভিড় জমাতে। নারিন্দার মুখে দাঁড়িয়ে কোমল পানীয় কিনছিলেন বেসরকারি একটি সংস্থার কর্মকর্তা হাসিবুর হাসান। তিনি বলেন, এখন তো প্রতিদিনই শুক্রবার। তারপরও শুক্রবার বলে বাসায় পোলাও-মাংস রান্না হয়েছে, এজন্য কোমল পানীয় নিয়ে গেলাম। খাওয়া-দাওয়া, অনলাইনে চ্যাটিং, বইপড়া আর ছোট ছোট কিছু কাজ করেই নিজেদের 'বন্দিদশা' পার করছে রাজধানীবাসী।