মামলার আসামি চ্যালেঞ্জার বাসের মালিককে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

প্রকাশ | ২৮ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নাটোর-পাবনা মহাসড়কে শনিবার বিকেলে দুঘর্টনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় আটক বাসের মালিক মঞ্জু সরকারকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আটকের ৯ ঘণ্টা পর রোববার রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। তিনি দুঘর্টনার পর দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এছাড়া দুঘর্টনাকবলিত চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসটির রুট পারমিটও নেই। আর এজাহারে নাম না থাকলেও হেলপার আবদুস সামাদ কমলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন দল সমথির্ত পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের তদবিরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। বিআরটিএ বগুড়া কাযার্লয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মেজবা উদ্দিন বলেন, ‘চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসটির কোনো রুট পারমিট নেই। ফিটনেস সাটিির্ফকেট আছে।’ এ প্রসঙ্গে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, এজাহারে নাম থাকলেও কাউকে গ্রেপ্তারের বাধ্যবাধকতা নেই। তদন্ত কমর্কতার্ যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। বগুড়া অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মামলার তদন্তের স্বাথের্ বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি জিএম শামসুন নুরকে ক্লোজ করে বগুড়া কাযার্লয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। চ্যালেঞ্জার পরিবহনের মালিককে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। রুট পারমিট না থাকার পরও কীভাবে বাসটি এতদিন রাস্তায় চলাচল করেছে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রুট পারমিট আছে কি নাই, কাগজপত্র দেখে জানাব।’ নাটোর বনপাড়া হাইওয়ে থানার এএসআই ইউসুফ আলী জানান, দুঘর্টনার পর তিনি লালপুর থানায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আসামিরা হলো বনপাড়া হিউম্যান হলার মালিক সমিতির সভাপতি জাবেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, হিউম্যান হলারের (লেগুনা) মালিক শাহাদাত হোসেন, নিহত চালক আমির হোসেন, নিহত হেলপার (অজ্ঞাত), চ্যালেঞ্জার পরিবহনের মালিক মঞ্জু সরকার ও চালক শামিম। ইন্সপেক্টর শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্দর নিদেের্শ দুজনকে আটক করা হয়েছিল। আবার ঊধ্বর্তন কমর্কতাের্দর নিদেের্শ চ্যালেঞ্জার পরিবহনের মালিক মঞ্জু সরকারকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। খেঁাজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া শহরতলির মধ্য পালশা এলাকার আবদুর রহমান সরকারের ছেলে মঞ্জু সরকারের চ্যালেঞ্জার পরিবহন ও আগমনী পরিবহন নামে বেশ কয়েকটি বাস আছে। তিনি কয়েক বছর আগে নিলামে বিআরটিসির পরিত্যক্ত একটি বাস কেনেন, যা ভাঙারি হিসেবে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু মঞ্জু সরকার নতুন বডি করার পর চ্যালেঞ্জার পরিবহন (ঢাকা-মেট্রো-চ-৫৬৬৯) নামে বগুড়া-পাবনা রুটে বাসটি চালান। বগুড়া বিআরটিএ কাযার্লয় থেকে রুট পারমিট নেয়া হয়নি। ফিটনেস সাটিির্ফকেট ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বাসটি চালাচ্ছিলেন। এ বাসের চালক বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার শামিম এবং হেলপার গোকুল পশ্চিমপাড়ার আবদুল বারীর ছেলে আবদুস সামাদ কমল। শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান এলাকায় পাবনা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের বাসটির সঙ্গে একটি হিউম্যান হলারের (লেগুনা) মুখোমুখি সংঘষর্ হয়। এতে দুটি যানের ১৫ যাত্রী নিহত ও ২০-২৫ জন আহত হন।