খুনি মাজেদকে গ্রেপ্তার মুজিববর্ষে শ্রেষ্ঠ উপহার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি গ্রেপ্তার ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের দন্ড কার্যকর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদের গ্রেপ্তার দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন যেসব দন্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ডাদেশ কার্যকর করার অপেক্ষায় ছিলাম, তাদেরই একজন ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। কিছুক্ষণ আগে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত থেকে তাকে হাজতবাসের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং সেই জায়গায় তাকে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।' মন্ত্রী বলেন, 'তার স্ত্রী সানা বেগম, বাড়ি নম্বর ১০/এ, রোড নম্বর-১, ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকা। তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে তার সব তথ্য ছিল।' '১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সময় এই দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ এবং নূর ও রিসালদার মুসলেহউদ্দিন- এই তিনজন সেখানে ছিলেন। আরও কয়েকজন ছিলেন। এই খুনি শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনে অংশগ্রহণ করেননি, তিনি জেলহত্যায়ও অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে আমাদের জানা রয়েছে। খুনের পর তিনি জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক বঙ্গভবনে এবং অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছেন।' আসাদুজ্জামান খান বলেন, 'আশা করি, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তার দন্ডাদেশ কার্যকর করতে পারব। যারা এই কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের ধন্যবাদ দিয়ে আমি মনে করি, মুজিববর্ষের একটা শ্রেষ্ঠ উপহার আমরা দেশবাসীকে দিতে পেরেছি।' তিনি আরও বলেন, 'তৎকালীন জিয়াউর রহমান সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের বদলে তাদের নানাভাবে পুরস্কৃত করেছে এবং ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে তাদের যাতে বিচার না হয়, সেই ব্যবস্থাটি পাকাপোক্ত করেছে।' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'এই খুনিকে আমরা দেখেছি সেই সরকারের আশীর্বাদে দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরিরত অবস্থায় ছিলেন। এরপর যখন ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন তিনি আত্মগোপন করেন।' তিনি বলেন, 'আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা ছিল তাকে ধরার জন্য। আমাদের গোয়েন্দারা এবং পুলিশ বাহিনী যারা কাজে ছিল, তারা ভালো করেছে বলে আমি পূর্বেই বলেছি।' মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের কমিটমেন্ট যত খুনি যেখানেই আছে, আমরা সবাইকে ফিরিয়ে আনব। যেখানেই থাকুক; তাদের আনার জন্য সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মাঝে মাঝে বিস্ময়ে হতবাক হই। প্রধানমন্ত্রী যদি দেশে না ফিরতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার কোন পর্যায়ে যেত।'