৯০ লাখ পরিবহণ শ্রমিকের পাশে যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
লকডাউনে কর্মহীন ৯০ লাখ সড়ক ও নৌ-পরিবহণ শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে সড়ক ও নৌ-পরিবহণের মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ দেশে পরিবহণ বন্ধ হওয়ার পর থেকে ৭০ লাখ সড়ক পরিবহণের চালক-শ্রমিক, ২০ লাখ নৌ-পরিবহণ শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমাদের দেশের সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ সেক্টরে সঠিক বেতন কাঠামো কার্যকর না থাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ পরিবহণ শ্রমিক দৈনিক মজুরি বা ট্রিপভিত্তিক চাকরি করে থাকে। তাই তারা দৈনিক শ্রমিকের মতো দিনে আনে দিনে খায় ভিত্তিতে কাজ করে থাকে। আয় রোজগার বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে তারা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমতাবস্থায় মানবিক সাহায্য নিয়ে এসব শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে স্ব-স্ব পরিবহণ মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতাদের কাছে জোর দাবি। তিনি আরও বলেন, দেশে সড়ক ও নৌ-যোগাযোগ সেক্টরে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি বৈধ-অবৈধ চাঁদা আদায় হয়। এ চাঁদা যেসব খাতে আদায় করা হয় তার মধ্যে আপৎকালীন তহবিলে জমার নামেও শ্রমিকদের কাছ থেকে কিছু চাঁদার টাকা নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে আদায় করা এসব চাঁদার টাকা দেশের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মহামারি করোনায় লকডাউনে কর্মহীন শ্রমিকদের পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে না। অথচ এই দুটি সেক্টরে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের অনেকে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হয়েছে। অনেকেই একটি বাস বা লঞ্চ থেকে আজ শত শত বাস-লঞ্চের মালিক। অনেক শ্রমিক নেতারা অসংখ্য পরিবহণের মালিক হলেও শ্রমিকদের এই ভয়াবহ দুর্দিনে কাউকে অসহায় পরিবহণ শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না। বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী দাবি করেন, দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন সচল রাখতে এসব পরিবহণ শ্রমিকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই দুর্যোগে শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়ালে তারা কর্মহীন বা পেশা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সেক্টর আগামীদিনে সচল করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।