ত্রাণ কার্যক্রম তদারকিতে ৫৫ কর্মকর্তা

প্রকাশ | ০৯ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাস মহামারিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও কর্মহীনদের মধ্যে ত্রাণকার্যক্রম তদারকি করতে ৫৫ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার এসব কর্মকর্তার কে কোন জেলা ও বিভাগে ত্রাণকার্যক্রম তদারকি করবেন তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য সরকারি চাল লোপাট করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাসহ বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর ত্রাণ মন্ত্রণালয় বুধবার তদারকি কর্মকর্তা বসাল। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে ত্রাণকার্যক্রম তদারকি করবেন। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় দুর্যোগ সাড়াদান \হসমন্বয় কেন্দ্রে (এনডিআরসিসি) প্রতিবেদন পাঠাবেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রথম ধাপে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত ও যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় পরে দুই দফায় এই 'ছুটি' বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। এই সময়ে বিশেষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। ফলে ঘরবন্দি শ্রমজীবী মানুষ হঠাৎ করেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে চার দফায় ২২ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৫৬ হাজার ৫৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এছাড়া সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চালও হতদরিদ্রদের দেওয়া হচ্ছে। সরকারি চাল লোপাট করতে গিয়ে মঙ্গলবার নাটোর, জয়পুরহাট ও যশোর কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন, যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারাও রয়েছেন। এছাড়া গাইবান্ধায় সরকারের ১০ টাকা কেজি দরের বিক্রির চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বগুড়ায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়ে মহিষাবান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ওয়াজেদ হোসেন এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজিউল হকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।