সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য ১৩ নির্দেশনা

প্রকাশ | ১৩ মে ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও ব্যাপক বিস্তার রোধে অধিকতর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৩টি জনগুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সব মন্ত্রণালয় ও অধিনস্ত দপ্তর, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি পালন নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপ : ১. প্রয়োজনীয় সংখ্যক জীবাণুমুক্তকরণ ট্যানেল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করা যেতে পারে। ২. অফিস চালু করার আগে অবশ্যই প্রতিটি অফিস কক্ষ/আঙ্গিনা/রাস্তাঘাট জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ৩. প্রত্যেক মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার/থার্মোমিটার দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে অফিসে প্রবেশ করাতে হবে। ৪. অফিসের পরিবহণগুলো অবশ্যই শতভাগ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যানবাহনে বসার সময় পারস্পরিক নূ্যনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং সবাইকে মাস্ক (সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা তিন স্তরবিশিষ্ট কাপড়ের মাস্ক, যা নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢেকে রাখবে) ব্যবহার করতে হবে। ৫. সার্জিক্যাল মাস্ক শুধু একবার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে আবার ব্যবহার করা যাবে। ৬. যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রাকালে পথে বারবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ৭. খাওয়ার সময় শারীরিক দূরত্ব (নূ্যনতম তিন ফুট) বজায় রাখতে হবে। ৮. প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে জীবাণুমুক্তকরণ নিশ্চিত করতে হবে। ৯. অফিসগুলোতে কাজ করার সময় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ১০. কর্মস্থলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং ঘনঘন সাবান পানি বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ১১. করোনা প্রতিরোধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সাধারণ নির্দেশনাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিয়মিত মনে করিয়ে দিতে হবে এবং তারা স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলছে কি না তা মনিটর করতে হবে। ভিজিলেন্স টিমের মাধ্যমে মনিটর কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ১২. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ১৩. কোনো কর্মচারীকে অসুস্থ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।